পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেটে হাত খোয়াতে হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে। রবিবার রাতে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তখনই আক্রান্ত হন ওই ছাত্র। সোমবার তাঁর ডান হাতটি কেটে বাদ দিতে হয়েছে।
রবিবার রাতে পুলিশি অভিযানে জখম হয়েছেন অন্তত ৬০ জন ছাত্র। আহত ছাত্রদের প্রাথমিক চিকিত্সার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতর আহত চারজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের চিকিত্সা চলছে। তাঁদের মধ্যেই রয়াসন বিভাগের রিসার্চ স্কলার নাসিরের ডান হাত বাদ দিতে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েশন সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম হাসপাতালে আহত ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, “ছাত্রটি মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছে যে কথা বলতে পারছে না”।
এএমইউ-র মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার আসাদ মেহমুদ জানিয়েছেন, “ছাত্রটির হাতের উপর টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় আঙুলে জখম নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তার হাতে কয়েকটি টিস্যু বেঁচে ছিল। সেগুলো জোড়া খুবই কঠিন ছিল”।
সোমবার সকালে খুনের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় ৫২ জন পরিচিত ও ১০০০ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে পুলিশ। FIR-এর উল্লেখিত ৫২টি নামের মধ্যে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে শর্তসাপেক্ষে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।