আন্দোলন করুন, কিন্তু কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। পই পই করে বুঝিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে তা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। বাসে আগুন ধরিয়ে, একাধিক ট্রেন জ্বলিয়ে, সরকারি সম্পত্তি তছনছ করা হয়েছিল। ফলে বিরোধীরা অস্ত্র পেয়ে গিয়েছিলেন হাতে। শাসকের ওপর উঠছিল তোষণের অভিযোগ। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, অশান্তি তিনি বরদাস্ত করবেন না।
সূত্রের খবর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার পাশাপাশি আরও একাধিক অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৪ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যপ্রশাসন। নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভের নামে ধ্বংসলীলা চালানোর অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মূলত হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা এই তিন জেলা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বিক্ষোভকারীদের। এই তিন জেলাতেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল ব্যাপক অনাচার। বিক্ষোভ প্রদর্শনের নামে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তোলেন এক শ্রেণীর মানুষ। যার জেরে উস্কানিও ছড়াতে শুরু করে রাজ্যজুড়ে। প্রতিকার হিসেবে নানা জেলায় বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট। কিন্তু এই ধরনের কাজ পরপর দু’দিন নাগাড়ে লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এরপরই নড়েচড়ে বসে ৩৬০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই গ্রেফতারের পর আরও কড়া সুরে মমতা বলেছেন, যারা তাণ্ডব চালিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। দোষীদের ধর্ম, রাজনৈতিক রং না দেখেই সাজা দেওয়া হবে। গ্রেফতারির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও হাওড়ার উলুবেড়িয়া থেকেই বলে জানা যাচ্ছে।