ধর্ষিতা হয়ে আদালতে মামলা করতে গেলে পুড়িয়ে মেরা ফেলা হয়, কোথাও আবার ধর্ষণে বাধা দিলেই আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়। এই দৃশ্যই যেন রোজ নামচা হয়ে দাঁড়াচ্ছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। কার্যত ধর্ষণের রাজধানী হয়ে দাঁড়াচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। একই চিত্র বিহারেও। বিহারে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় যুবতীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় যুবক। ১০ দিন ধরে যমে-মানুষে টানাটানির পরে কাল রাতে মারা গেলেন ওই তরুণী। অন্যদিকে সেই একই তিমিরে রয়ে গেল উন্নাও। ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে নিজেই গায়ে আগুন দিলেন তিনি।
বিহারের ঘটনাটি গত ৭ ডিসেম্বরের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যায় নাজিরপুরে নিজের বাড়িতে একাই ছিলেন বছর তেইশের ওই তরুণী। অভিযোগ, সেই সুযোগে প্রতিবেশী যুবক তাঁদের বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই যুবক। এই ঘটনায় তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পটনায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই এত দিন চিকিত্সা চলছিল তাঁর। সোমবার রাত ১১.৩৮-এ তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে তরুণীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরই হাসপাতালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তুলতে শুরু করেন আত্মীয় পরিজনেরা।
এ তো না হয় গেল বিহারের কথা। কিন্তু হাজার ঘটনা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশ যেই তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। সোমবারও ফের একবার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উন্নাওয়ে। উন্নাও ফের সাক্ষী থাকল আরও এক মর্মান্তিক ঘটনার। ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে এসে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে থানার সামনেই নিজের গায়ে আগুন লাগালেন এক তরুণী। পুলিশ সূত্রে খবর, কানপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে এবং চিকিৎসা চলছে। তবে তারও অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।