সিএএ-এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে যখন তুমুল আন্দোলন চলছে, ঠিক সেইসময়েই নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিআইএম সহ ১৪টি বিরোধী দল। এদিন বিকেলে রাইসিনা হিলসে সনিয়া গান্ধী, ডেরেক ও’ব্রায়েনের মত বিরোধী নেতারা গিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সরকার এই আইন প্রত্যাহার করুক। নাহলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় যাচ্ছে। সনিয়া-সহ বিরোধী নেতারা জানান, দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর যে ভাবে পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতার সমান।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বেরিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বলেন, ‘জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম বর্বরতা দেখিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছাত্রীদের শৌচাগারে ঢুকে পেটানো হয়েছে পড়ুয়াদের।’ কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী এদিন আরও বলেন যে, ‘মোদী সরকার সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর রোধ করে দিতে চাইছে। এই সরকার কোনও সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। দেশকে ধর্মের নামে ভাগ করতে চাইছে।’
এদিন সনিয়ার নেতৃত্বে বিরোধীদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, সিপিআই নেতা ডি রাজা-সহ ১৪টি দলেরব শীর্ষ নেতৃত্ব।
রাইসিনা থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি, একটি আইনের জন্য গোটা দেশে আগুন জ্বলছে। কেন্দ্রীয় সরকার উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি ঠিক করতে সরকারকে দ্রুত এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। যে ভাবে আইন পাশ করানো হয়েছে তাতে আমাদের দেশের সংবিধানের মৌলিক জায়গাতেই আঘাত করা হয়েছে।’ ডেরেকের কথার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে আমরা আমজনতার ক্ষোভের কথা বলেছি। আমরা আশা করবে দেশের সাংবিধানিক প্রধান সরকারের সঙ্গে কথা বলে একটা কিছু করবেন।’ কপিল সিব্বল সহ অন্যান্যরাও এই একই কথা বলেন। তাঁরা আশা করছেন, রাষ্ট্রপতি তাঁদের বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখবেন।