ক্যাব এনে মোদী সরকার বেশ অস্বস্তিতে। দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদের আগুন। বিশেষ করে এই আগুনে পুড়ছে উত্তর-পূর্ব ভারত। এই আইনের দ্বারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের দেশ ছাড়ার ফরমান জারি করবে মোদী সরকার। দেশের নাগরিক হয়েও নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে সবাইকে। ফলে চাপে শরণার্থীরা। এই আইনের প্রতিবাদে সরব বিভিন্ন মহল। জামিয়া থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়েছে৷ এরপর আসরে নামলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী৷ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, বুকের পাটা থাকলে উত্তরপূর্বে গিয়ে দেখান৷
সোনিয়া গান্ধী এক বিবৃতিতে বলেন, মোদী সরকারের উদ্দেশ্য পরিষ্কার৷ তাদের লক্ষ্য দেশকে অশান্ত করা৷ হিংসা ছড়াতে এবং যুবকদের অধিকার কেড়ে নিতে তারা মরিয়া৷ তারা ধর্মীয় বৈষম্য ছড়াতে চায়৷ এবং তার থেকে তারা ফায়দা তুলতে চায়৷ এসবের মূল কারিগর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তিনি তাঁর বিবৃতিতে বলেন, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় জ্বলছে৷ অমিত শাহ এই পরিস্থিতিতে উত্তরপূর্বে যাওয়ার সাহস দেখাবেন না৷ এমন পরিস্থিতি যার ফলে প্রথমে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেন৷ অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সোমবার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে৷ ইন্টারনেট পরিষেবা দ্রুত চালু হবে৷