সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করে সোমবার রাস্তায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ এবং এনআরসি-র কোওটাই যে রাজ্যে কার্যকর করতে দেওয়া হবে না, মিছিল শুরুর আগে তা আরও একবার ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। তবে রাজনৈতিক প্রতিবাদ দেখালেও তা শান্তিপূর্ণ ভাবেই করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মিছিল শুরুর আগে ময়দানে সংবিধানের রচয়িতা বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে শুরু হওয়া মিছিল যাবে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত। মিছিলে হাঁটার আগে উপস্থিত জনতাকে শপথ বাক্য পাঠ করান তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গোটা ভারতের মানুষের যে প্রতিবাদ, তাতে সামিল হব আমরা। শান্তিপূর্ণ মিছিলের আগে শপথ নেব আমরা।’
এরপর শপথ নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘আমরা সবই নাগরিক। সর্বধর্ম সমন্বয় আমাদের জীবন আদর্শ। কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। নিশ্চিন্তে থাকব, শান্তিতে থাকব। বাংলায় এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন করতে দিচ্ছি না। দেব না। শান্তি রাখতে হবে।’ তাঁর সঙ্গে সঙ্গেই শপথ নেন সুব্রিত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের নেতা-নেত্রী ও উপস্থিত কর্মীরা।
সোমবার সকালেই মিছিলে অংশ নিতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-মিছিলে অংশ নিতে বলেন।
শপথ শেষে জোড়াসাঁকোর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন শুধু নয়, মঙ্গলবারও যাদবপুর থেকে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত মিছিল করবে তৃণমূল। মিছিল হবে বুধবারও। হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত।