নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় উত্তাল গোটা দেশ। গতকাল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় রাজধানী দিল্লীতেই। আসাম ত্রিপুরার পাশাপাশি বাংলায় গত তিনদিন ধরে গন্ডগোল চলছেই।
রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি বেশকিছু জায়গায় রেলস্টেশন ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে টুইট করে বিক্ষোভকারীদের সংযত হওয়ার পরামর্শ দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, অহিংসাই প্রতিবাদের একমাত্র পথ।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিক্ষোভে দফায় দফায় পড়ুয়া ও পুলিশের সংঘর্ষে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ তাদের উপর বিনা কারণে লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করে পড়ুয়ারা। এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, “এভাবে যৌবনের কণ্ঠস্বর দমন করা যায় না। কিন্তু, এই সরকার জোর করে মানুষের মুখ বন্ধ করতে চাইছে। দেশকে একনায়কতন্ত্রের পথে নিয়ে যেতে চাইছে। সরকারের যখন মানুষের মতামত শোনার কথা তখন বিজেপি পুলিশ দিয়ে ছাত্র আন্দোলন দমন করতে চাইছে। উত্তর-পূর্ব থেকে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি সর্বত্রই পড়ুয়া আর সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এটা একটা কাপুরুষ সরকার।”