আসামে মোদী সরকারের এনআরসির চালু হওয়ার পর থেকেই উত্তাল হয়েছে। আসামের নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ। তাঁদেরও একে একে ভরে দেওয়া হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্পে। তবে এই মোদীই ক্ষমতা আসার আগে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ভোট প্রচারে গিয়ে আসামের মাটিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘অসমের ভাই–বোনদের বলছি, আমি আপনাদের কাছে এসেছি। অসমের মানুষকে আমি কথা দিচ্ছি, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ভেঙে গুড়িয়ে দেব ডিটেনশন ক্যাম্প। ২০১৪-এর এই জনসভার ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
তবে ক্ষমতায় এসেই উল্টো সুর গেয়েছেন মোদী-শাহ। চলতি বছরে এসে প্রস্তুত করা হল এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। তাতেই বাদ পড়লেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাঁদের ভবিষ্যত কী? ওই ডিটেনশন ক্যাম্পেই কী তাঁদের পচে মরতে হবে? এবিষয়ে একেবারেই চুপ মোদি সরকার। কীভাবে তাঁরা আবার নাগরিকত্ব পাবেন? কী তার প্রক্রিয়া? অন্ধকারে গোটা দেশ।
আসামের মতোই সারাদেশে এনআরসি চালু করলে বাদ যেতে পারেন কোটি কোটি মানুষ। রাষ্ট্রহীন হওয়ার ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত গোটা দেশ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে ডিটেনশন ক্যাম্পের কাজ সম্পূর্ণ করেছিল মোদী সরকার। শুধু তাই নয়, সারাদেশে এনআরসি চালু করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির কাজ।