নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে প্রায় গোটা দেশই। পিছিয়ে নেই দেশের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিও। সেখানে ছাত্রছাত্রীরাও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আর তারপরেই গতকাল মধ্যরাতে দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশি হামলার ঘটনায় আজ সকালেই কেন্দ্রের মোদী সরকারকে ‘ভীতু’ বলে তোপ দেগেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর আজ বিকেল হতে না হতেই দিল্লীর ইন্ডিয়া গেটে ধর্নায় বসে পড়লেন সনিয়া-কন্যা।
প্রিয়াঙ্কার ধর্নায় বসার খবর পেয়ে কংগ্রেসকর্মীদের ভিড় জমতে থাকে ইন্ডিয়া গেট চত্বরে। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের কর্মসূচিতে যোগ দেন বহু ছাত্রছাত্রীও। ধর্নায় বসে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এই সরকার সংবিধান, ছাত্রছাত্রী সব কিছুর উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পুলিশ পিটিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।’
রবিবার দুপুর থেকেই ছাত্রবিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিল্লী। রাত বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলন বিরাট আকার নেয়। জামিয়ার ছেলে-মেয়েদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় জেএনইউ, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনে পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ তুলে সারা রাত দিল্লি পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও করে রাখে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী। এদিন প্রিয়াঙ্কা তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে ছাত্রদের পিটিয়েছে পুলিশ। এই সময়ে যখন মানুষের মতামত শোনার কথা সরকারের, তখন বিজেপি সরকার পুলিশ দিয়ে ছাত্রআন্দোলন দমন করতে চাইছে। উত্তর-পূর্ব থেকে বাংলা, উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লী- সর্বত্র ছাত্র আর সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এটা একটা ভিতু সরকার।’
রবিবারই তুমুল হাঙ্গামার খবর আসে দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দু’জায়গাতেই প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীদের উপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। চলেছে নির্বিচারে লাঠি। জলকামানও চলেছে কোথাও কোথাও। একাধিক পড়ুয়াকে আটক করা হয়। জামিয়ার এক ছাত্রকে টেনে এনে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে পেটানোর ভিডিও-ও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। জামিয়া মিলিয়াতে গুলিও চলেছে বলেও অভিযোগ ছাত্রদের।