আগুন বা ভাঙচুর নয়, রবিবার নতুন আঙ্গিকে তেতে উঠল অসম। এবার প্রতিবাদের হাতিয়ার হল গান। হ্যাঁ গান গেয়েই গতকাল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে গর্জে উঠেছিল অসমিয়া শিল্পী সমাজ। রাজধানী গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই কর্মসূচীকে নেতৃত্ব দেন সঙ্গীত শিল্পী জুবিন গর্গ। বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীদের পাশাপাশি তাতে অংশ নেন সাধারণ মানুষও। সমাবেশে জুবিন বলেন, ‘এই আইন মানব না। এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে।’ তিনি এ কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘আসামের শিল্পী সমাজ এই আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাবে। ২০২১ সালের বিধানসভায় আর ক্ষমতায় আসছে না বিজেপি।’ স্লোগান ওঠে ‘ফিরে যাও অমিত শাহ, ফিরে যাও হিমন্ত’।
প্রসঙ্গত, বড় কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটলেও রবিবার শান্তি পুরোপুরি ফেরেনি। আসামের শোনিতপুরে একটি তেলের ট্যাঙ্কারে আগুন জ্বালিয়ে দেয় প্রতিবাদকারীরা। গুয়াহাটি-ডিব্রুগড়ে কিছুক্ষণের জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। এবার আসামের ইন্টারনেট পরিষেবা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রাজধানী গুয়াহাটি-সহ বিভিন্ন বাঙালি জনবসতিতেও ভয়ের পরিবেশ রয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে জখম ঈশ্বর নায়েক ও আবদুল আলির চিকিৎসা চলছিল হাসপাতালে; মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭। এদিন, সোমবার থেকে ফের আন্দোলনে নামছে আসু। সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্যের দাবি, এটা আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ডাক। নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই ডাক জারি থাকবে।