বিজেপি বহিরাগত ঢুকিয়ে অশান্তি পাকানোর পরিকল্পনা করছে। সোমবার পদযাত্রার শুরুতেই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নাগরিক আইনের প্রতিবাদে ফের একবার শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার ডাক দিলেন তিনি। কেউ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে, তা যে কোনওমতে বরদাস্ত করা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন মমতা।
সংশোধিত নাগরিক আইনেরপ্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অশান্তি ছড়িয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। শুক্র, শনি, রবি পেরিয়ে আজ সোমবারও পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক হয়নি। জায়গায় জায়গায় অবরোধ করছেন বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীদের। এই পরিস্থিতিতে নাগরিক আইনের প্রতিবাদে আজ পদযাত্রায় সামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। ধর্মতলায় বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়েছে এদিনের মিছিল। জওহরলাল নেহরু রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে মিছিল যাবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত। সংবিধান রক্ষা ও ধর্মীয় ঐক্যের দুই প্রতিনিধিকে মেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দিনের পদযাত্রার স্থল বেছে নিয়েছেন বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
এদিন ঠিক বেলা ১টা নাগাদ ধর্মতলায় বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সংবিধান স্রষ্টার মূর্তিতে মালা দান করেন তিনি। এরপর সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে পদযাত্রায় সামিল হন তৃণমূল নেত্রী। এদিন বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দেন, ‘কোনও বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করব না। উই স্ট্যান্ড ফর পিস। এটাই আমাদের স্লোগান। এই স্লোগানকে মাথায় রেখেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আন্দোলনে সামিল হব আমরা।’ নাগরিক আইনের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে করার লক্ষ্যে মিছিল অংশগ্রহণকারী সবাইকে এদিন শপথবাক্যও পাঠ করান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে সবাইকে বলতে বলেন, ‘আজকের শপথ, আমরা সবাই নাগরিক। কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। নিশ্চিত ও শান্তিতে থাকব। বাংলায় এনআরসি ও ক্যাব করতে দেব না, দিচ্ছি না। আমরা শান্তিতে থাকব।’
এরপরই তৃণমূল নেত্রী তোপ দাগেন, ‘বিজেপির অনেক পরিকল্পনা আছে। তাঁরা বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। তাই সাবধান। নজর রাখবেন, কেউ যেন বাইরে থেকে মিছিলে ঢুকে এসে গন্ডগোল পাকাতে না পারে। এখানে সিসিটিভি রয়েছে। কেউ অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে, দল ও সরকার তা বরদাস্ত করবে না।’এই প্রসঙ্গেই দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে তিনি নির্দেশ দেন, ‘আমার সঙ্গে সকলে হাঁটবেন না। আমি মিছিলের একদম শুরুতে থাকব। তৃণমূলের বাকি নেতারা সকলে মিছিলের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবধানে থাকবেন।’