দিল্লীর রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এদিন মনমোহন বলেন, ‘গত ছ’বছর ধরে দেশের মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’
বেকারদের কর্মসংস্থান, কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করা, জিডিপির হার বাড়ানোর মতো বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দেন ইউপিএ ১ ও ২ সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ছ’বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। বলেছিলেন ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের দু’কোটি বেকারের চাকরি হবে। এখন বোঝা যাচ্ছে এ সবটাই মিথ্যের ফানুস ছিল। একটাও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি।’
দেশের এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের হাতকে শক্ত করার আহ্বান জানান মনমোহন। তিনি বলেন, ‘আমি আবেদন করছি, সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর হাতকে শক্ত করুন। কংগ্রেসকে আরও মজবুত করুন।’
নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে এদিনের মেগা সমাবেশে সনিয়া, রাহুল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া-সহ একাধিক শীর্ষ সারির কংগ্রেস নেতা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের সমাবেশ থেকে গোটা দেশে কর্মীদের রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী বলেন, ‘বেকারত্ব, অর্থনৈতিক অব্যবস্থা-সহ একাধিক ইস্যুতে রাস্তায় নামুন। জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলুন।’
এদিনের সমাবেশে মোদীর বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানান সনিয়া-কন্যাও। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন। আমরা যদি এখনও একজোট না হই, তাহলে খুব শীঘ্র এই সরকার বাবাসাহেবের সংবিধানকে ধ্বংস করবে।’ এখানেই থামেননি প্রিয়ঙ্কা। সুর চড়িয়ে বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির স্লোগান ছিল, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। অর্থাৎ মোদী ক্ষমতায় থাকলে সবই সম্ভব। বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে কোটি কোটি চাকরির সুযোগ নষ্ট হবে, লক্ষ লক্ষ কৃষক বিপদগ্রস্ত হবেন, সরকারি কারখানা বিক্রি হবে। মোদী থাকলে এগুলোই সম্ভব।’