শুক্রবার দুপুরে এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে কলকাতা, উলুবেড়িয়া, বেলডাঙা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থান। তবে সমতল পেরিয়ে সেই ক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে পাহাড়েও। কয়েকমাস আগে লোকসভা নির্বাচনেও পাহাড়ে বড় জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এনআরসি-ক্যাবের জোড়া ধাক্কায় সেই পাহাড়েই কার্যত ভাঙনের মুখে গেরুয়া শিবির। সেখানে বিজেপির জেলা কমিটি থেকে শুক্রবারই অন্তত ৭ জন পদাধিকারী ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কর্মীদের সংখ্যা যোগ করলে সেটা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে বলে জানা গেছে৷ এই প্রবণতা বজায় থাকলে শীঘ্রই গেরুয়া শিবিরে আরও বড়সড় ভাঙন দেখা যাবে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই এনআরসি মেনে নিতে পারেনি বাঙালি তথা বাংলার অধিকাংশ মানুষ। তবে এ নিয়ে কোনও হেলদোল ছিল না গোর্খা জনজাতির মানুষের। কিন্তু আসামে এনআরসিতে প্রায় ১ লক্ষ গোর্খার নাম বাদ যেতেই পরিস্থিতি পুরো পাল্টে গেছে। পাহাড়ের মানুষও তেড়েফুঁড়ে উঠতে শুরু করেছেন। বারেবারে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তকে। পোড়ানো হয়েছে অমিত শাহের পুতুলও। পাহাড়ের মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদী সরকার, তার কিছুই পূরণ হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ জেলার নেতারাও দলের দায়িত্ব থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন। এবার যেমন বিজেপির দার্জিলিং জেলা কমিটির প্রিয়াঙ্কা ছেত্রী, সুমন শর্মা, অনিল শর্মা, উমেশ প্রধান, উত্তম রাই-সহ আরও অনেকই শীর্ষনেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা পদ ছাড়ছেন। এছাড়া, এনআরসি নিয়ে তীব্র বিরোধ করছে পাহাড়ের জনজাতির উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার দ্বারা গঠিত ১৫টি উন্নয়ন পর্ষদও।