সোমবার লোকসভায় প্রায় ৭ ঘণ্টার হই-হট্টগোলের পর মধ্যরাতে পাশ হয়েছিল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)। আর তারপর দীর্ঘ বিতর্ক-আলোচনা চলার পর বুধবার রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যায় তা। আর তারপর থেকেই প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে গোটা উত্তর-পূর্ব মূলত আসাম।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী ভারত সফর বাতিলের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আগামী সপ্তাহের গুয়াহাটি সফরও বাতিল করা হয়েছে। শুধু বিদেশি অভ্যাগতদের নয়, বাতিল হল খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের সফরও। কোনও ক্ষেত্রেই সফর বাতিলের কারণ দর্শানো হয়নি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিলের আইনে পরিণত হওয়ার খবর বিক্ষোভে নতুন ইন্ধন জুগিয়েছে। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি-সহ আসামের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সঙ্ঘর্ষ হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারান ৫ জন। জখম হন বহু মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় কার্ফু জারির পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
শুক্রবারও কার্ফু জারি ছিল বহু জায়গায়। এখনও অচল ইন্টারনেট। মুখ থুবড়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তাঘাটে যানবাহন নেই বললেই চলে। এমনকী যাতায়াত করতে পারছে না অ্যাম্বুল্যান্সও। কারণ খাদ্য সঙ্কটের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ব্যাপক জ্বালানির সঙ্কটও।
শুক্রবার গুয়াহাটিতে গণঅনশনে বসেছিলেন আসাম ছাত্র সংগঠন(আসু)-র নেতারা। অনশন মঞ্চ থেকেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার কথা ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি জেলার প্রতিটি থানায় ক্যাব-বিরোধিতায় ‘গণ সত্যাগ্রহ’ চলবে বলে জানিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে আসুর ডাকে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়ালের সচিবালয়ের কর্মীদের একটা বড় অংশ প্রকাশ্যেই যোগ দিয়েছে আন্দোলনে।