আইনে পরিণত হয়েছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এই নিয়ে উত্তাল ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ। একইসঙ্গে গোটা ভারত জুড়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মুসলিম বিরোধী এই বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে দেশের অন্যান্য বিরোধী দল। এবার সরব হলেন খোদ বিজেপির নেতা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিজেপি ছাড়তে চলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গেরুয়া নেতা হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি, ‘এই দলে থাকা যাবে না।’
হুমায়ুনের অভিযোগ, ক্যাব হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে। তিনি জানান, যে দলেই থেকেছেন মানুষ তাঁকে ভালবেসেছে। কিন্তু ক্যাব হলে তাঁদের স্বার্থে আঘাত হবে। মানুষের স্বার্থে আঘাত করা দলে তিনি আরও থাকবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, রাজনীতিতে থাকলে মানুষের স্বার্থ নিয়ে খেলা যায় না। তাই তিনি বিজেপি ছাড়বেন। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় হুমায়ুনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তাড়াহুড়ো না করার জন্য। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় হুমায়ুন। তবে বিজেপি ছেড়ে তিনি কোথায় যাবেন তা এখনও স্পষ্ট করেননি।
একদা অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এবং পরে সেই অধীরের সঙ্গেই তিক্ততার জেরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে পা বাড়িয়েছিলেন হুমায়ুন। পরবর্তী সময়ে আবার প্রাক্তন এই তৃণমূলী মন্ত্রী গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিজেপি সরকারের এই ক্যাবের সিদ্ধান্ত তিনি একেবারেই মানতে পারছেন না। এমনিতেই রাজ্যে এনআরসি এবং ক্যাব নিয়ে চরম প্রতিবাদে সরব হয়েছে শাসকদল তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দিয়েছেন যে, বাংলায় এনআরসি হবে না, ক্যাবও হবে না। এবার খোদ বিজেপি থেকে ক্যাবের প্রতিবাদে নেতার দল ছাড়া ভীষণভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।