দেশে মোদী সরকারের গৃহীত আইনগুলো অরাজকতার সৃষ্টি করছে। এক একটি সিদ্ধান্ত, দেশের মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। উত্তাল হয়ে উঠছে দেশ। এইবার সেই নিয়েই রাজধানীতে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারকে তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূলের প্রধান জাতীয় জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার যে ধরণের নিয়ম জারি করছে তাতে যেন মনে হচ্ছে “দেশে দ্বিতীয় জরুরি অবস্থা চলছে।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই দেশ জোড়া বিক্ষোভ উপেক্ষা করে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে আইনে পরিণত করেছে কেন্দ্র। কিন্তু তারপরে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। ত্রিপুরা এবং অসমের পর এখন ক্যাব বিরোধী বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে মেঘালয়েও। কিন্তু এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে যে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে দেশবিরোধী কোনও কিছু দেখানো যাবে না। আর এই নয়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই পোড়খাওয়া সাংসদ। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে হওয়া বিক্ষোভ তথা হিংসাত্মক ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই তা ধামাচাপা দিতে ওই নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।
তিনি বলেন, দেশে ২ ধরণের সংবাদমাধ্যম রয়েছে। একটি মেরুদণ্ডযুক্ত এবং অন্যটি মেরুদণ্ডহীন। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে মেরুদণ্ডযুক্ত সংবাদমাধ্যমগুলির মুখ বন্ধ করতে। সমালোচনা শুনতে পারে না মোদি সরকার, এমন অভিযোগও করেন ওই সাংসদ।