হাওয়া বলে দিয়েছিল, ব্রেক্সিটের পক্ষেই মত দেবে গোটা ব্রিটেন। এক্সিট পোলেও মিলেছিল সেই আভাস। শেষমেশ এক্সিট পোলের সমীক্ষাকে সত্যি প্রমাণিত করেই ব্রিটেনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরল বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি)। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ কমনসে ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩২৬টিতে জিতেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দল। এক্সিট পোলে বরিসের দল ৩৬৮টি আসনে জিততে পারে বলে আভাস ছিল।
কনজারভেটিভ পার্টির প্রাক্তন নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের পর ফের একবার বিপুল জনাদেশ পেলেন সেই দলের বরিস। বিরাট জনমত পেয়ে তাঁর ঘোষণা, ‘নয়া বিপুল জনাদেশ ব্রেক্সিটের পথ আরও সুগম করবে।’ অন্যদিকে, ২০২টি আসনে জয়লাভ করেছে বিরোধী দল বামপন্থী লেবার পার্টি। দলের তরফে জেরেমি করবিন এই ফলাফলকে অত্যন্ত হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনের জন্য আর দলকে নেতৃত্ব দিতে চান না। লেবার পার্টি। ফলে এই ভরাডুবির দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনেও টোরি ও লেবার পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। সেবার টোরিরা পেয়েছিল ৩১৮টি আসন এবং লেবার ২৬২টি। দু’বছর আগের সেই নির্বাচনের নিরিখে এবার জয়ের ব্যবধান বাড়িয়েছে বরিসের দল। ১৯৮০ সালে থ্যাচারের তত্ত্বাবধানে বিপুল জয়ের ৩৯ বছর পর ফের বিরাট জনাদেশ পেল টোরিরা। বরিস তাই এই জয়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য ও গণতান্ত্রিক স্বার্থ রক্ষার্থে নতুন সরকার সর্বতোভাবে সচেষ্ট হবে। ব্রিটিশ নাগরিকরা ব্রেক্সিটের পক্ষেই এই জনাদেশ দিয়েছেন। তাঁদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সরকার কাজ করবে।’