ঘরের মাঠে অনবদ্য মাইল ফলক স্থাপণ করলেন রোহিত শর্মা৷ ওয়াংখেড়েতে প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০ ছক্কা মারার নজির গড়েন হিটম্যান৷সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে সব চেয়ে বেশি ছক্কার মালিক ক্রিস গেল। ৫৩৪টি ছয় মেরে তালিকার শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে শাহিদ আফ্রিদি (৪৭৬)। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত (৪০৪)।
ওয়াংখেড়েতে ৩৪ বলে ৭১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলার পথে রোহিত ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন৷ অর্থাৎ ম্যাচের শেষে ৩৯৯ থেকে রোহিতের আন্তর্জাতিক ছক্কার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০৪৷ ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শেলডন কটরেলের প্রথম বল ডিপ মিডউইকেট উপর দিয়ে গ্যালারিতে ফেলে রোহিত ছুঁয়ে ফেলেন ৪০০ ছক্কার মাইলস্টোন৷ পরে পিয়েরের বলে ৩টি ও ওয়ালসের বলে ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি৷
মাইলস্টোন ছোঁয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১টি ছক্কার৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ শুরুর আগে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে রোহিতের আন্তর্জাতিক ছক্কার সংখ্যা ছিল ৩৯৯৷ সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচেই মাইলস্টোন ছোঁয়ার হাতছানি ছিল কোহলির ডেপুটির সামনে৷ তবে হায়দরাবাদ ও তিরুঅনন্তপুরমে ব্যাট হাতে সফল হননি হিটম্যান৷ ফলে নজির গড়ায় একটু বিলম্ব হয় রোহিতের৷ অবশেষে ঘরের দর্শকদের সামনে এমন বিরল রেকর্ড গড়েন রোহিত৷
তাঁর ও কে এল রাহুলের ১৩৫ রানের জুটির সৌজন্যে ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে ভারত। কী করে ২০ ওভারে এত রান তোলা সম্ভব হল? রোহিতের উত্তর, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ কতটা ভয়ঙ্কর ব্যাটিং লাইন-আপ তা আমরা জানি। চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব রান তোলার।’’ যোগ করেন, ‘‘ওয়াংখেড়ের উইকেট ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ। এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানেরা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তার আন্দাজ করেই বড় রান তোলার লক্ষ্যে নেমেছিলাম।’’
রোহিত জানিয়েছেন, শিশির পড়ায় বোলাররা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘বল হাত থেকে পিছলে যাচ্ছিল। বোলারদের কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। শিশির পড়লে সব চেয়ে সুবিধা হয় ব্যাটসম্যানদের। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছি।’’ রাহুলের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘রাহুল অসাধারণ সঙ্গ দিয়েছে। খুব ভাল টাইমিং হচ্ছিল ওর।’’