অপর্ণা সেন থেকে তিস্তা শেতলবাদ, নাসিরুদ্দিন শাহ, নয়নতারা সেহগল থেকে অরুন্ধতী রায়, অমিতাভ ঘোষ, জাভেদ আখতার। দেশজুড়ে ৬০০ জনের বেশি বিদ্বজ্জ্বন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এ দেশে আগত মুসলিমদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুবিধা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে অসাংবিধানিক, চরম বৈষম্যমূলক এবং ভেদাভেদমূলক বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
চিঠিতে সাহিত্যিকদের মধ্যে সাক্ষর করেছেন নয়নতারা সেহগল, অশোক বাজপেয়ী, অরুন্ধতী রায়, অমিতাভ ঘোষ, পল জ্যাকারিয়া, শশী দেশপাণ্ডে, জাভেদ আখতার। শিল্পী টি এম কৃষ্ণ, অতুল ডোডিয়া, ভিভান সুন্দরম, সুধীর পট্টবর্ধন, গুলাম মহম্মদ শেখ এবং নীলিমা শেখ। অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, নন্দিতা দাশ এবং আনন্দ পট্টবর্ধন। গবেষক তথা শিক্ষাবিদ রোমিলা থাপার, প্রভাত পট্টনায়ক, রামচন্দ্র গুহ, গীতা কাপুর, আকিল বিলগ্রামি এবং জোয়া হাসান। সমাজকর্মীদের মধ্যে সাক্ষর করছেন তিস্তা শেতলবাদ, হর্ষ মান্দার, অরুণা রায়, বেজওয়াদা উইলসন এবং অন্যান্যদের মধ্যে সাক্ষর করছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ পি শাহ, যোগেন্দ্র যাদব, জি এন দেবী, নন্দিনী সুন্দর এবং ওয়াজাহাত হবিবুল্লা প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা মহলের তরফ থেকে আমরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছি, কারণ এই বিল আদতে বিভেদ সৃষ্টিকারী, চরম বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক। দেশজুড়ে এনআরসি এবং এই বিল একসঙ্গে দেশের মানুষের জন্য চরম সমস্যা ডেকে আনবে। এই বিল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মৌলিক চরিত্রকে বদলে দেবে চিরকালের জন্য। তাই আমরা সরকারের কাছে আবেদন করতে চাই, এই বিল ফিরিয়ে নেওয়া হোক। কোনও নির্বাচিত সরকারই এভাবে সংবিধানের অবমাননার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না। একই আবেদন আমরা রাখছি দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের কাছেও।
প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অ-মুসলিমরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে এ দেশে চলে এলে, তাঁদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।