দ্বিতীয় টি-২০ তে হারার পর এদিন যেন একেবারে তেড়েফুঁড়ে উঠেছিলেন কোহলি-রোহিত-রাহুলরা। আর তারই ফলাফল মাত্র ২০ ওভারে পাহাড় প্রমাণ ২৪০ রান। ভারতের এই বিশাল অঙ্কের রান তাড়া করার চেষ্টা করেছিলেন কাইরন পোলার্ড ও শিমরন হেটমায়ের। কিন্তু পারলেন না। শেষ অবধি গিয়ে হার মানতেই হল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। শেষ পর্যন্ত ১৭৩ রানেই শেষ হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ৬৭ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় করলেন কোহলিরা।
এদিনও টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। আর শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত ও রাহুল। শুরু থেকেই বড় শট খেলা শুরু করেন দু’জনে। পাওয়ার প্লেতে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭২ রান তোলে ভারত। আগের দুই ম্যাচে রান না পাওয়ার দুঃখ এই ম্যাচে দূর করলেন রো-হিটম্যান শর্মা। এদিন নিজের ১৯তম হাফসেঞ্চুরিও করেন রোহিত। একইসঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করেন কে এল রাহুলও।
১৩৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পরে বড় শট খেলতে গিয়ে ৩৪ বলে ৭১ করে নিজের উইকেট দিয়ে আসেন রোহিত। তিনে নামা ঋষভ পন্থ এই ম্যাচেও ব্যর্থ। খাতা না খুলেই আউট হন ধোনির উত্তরসূরি। তারপর রাহুলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন ক্যাপ্টেন কোহলি। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দারুণ ছন্দে ছিলেন রাহুল। দু’জনে মিলে ভারতকে বড় রানের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন।
পুরো ম্যাচে কোনও সময়ই মনে হয়নি একটুও স্বস্তিতে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। ১৭ ওভারের মধ্যেই ২০০ রান হয়ে যায় ভারতের। ব্যাট করতে নেমেই ধ্বংসাত্মক মেজাজে ছিলেন কোহলি। ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। টি-২০ ক্রিকেটে এটা তাঁর দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। কোহলি-রাহুলকে দেখে মনে হচ্ছিল প্রতি বলেই ছক্কা মারবেন। ৫৬ বলে ৯১ করে আউট হন রাহুল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪০ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। অন্যদিকে কোহলি ২৯ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামার আগেই ধাক্কা লাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে। ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাঁটুতে চোট লাগায় নামতে পারেননি এভিন লুইস। ফলে ওপেন করতে নামেন সিমন্স ও ব্রেন্ডন কিং। যদিও শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের তিন পেস ব্যাটারি শামি, ভুবনেশ্বর ও চাহারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংইয়ে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান সিমন্স ও কিং। খাতা খুলতে পারেননি নিকোলাস পুরান।
তারপরে ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করেন হেটমায়ের ও অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। দু’জনে বেশ দ্রুত রান করছিলেন। বেশ কিছু চার-ছক্কা দেখা যায় তাঁদের ব্যাট থেকে। কুলদীপ যাদবকে পরপর দু’বলে দুটি ছক্কা মারার পরে তিন নম্বর বলেও ছক্কা মারতে গিয়ে ৪১ রানে আউট হন হেটমায়ের। পোলার্ড করেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু এদিনের ম্যাচে তাঁকে কেউ ঠিকমতো সঙ্গ দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত বড় শট মারতে গিয়ে ৬৮ করে আউট হন পোলার্ড। বাকিরা কেউ বিশেষ কিছু করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৭৩ রানে শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ভারতের হয়ে শামি, চাহার, ভুবনেশ্বর ও কুলদীপ ২টি করে উইকেট নেন। টি-২০ সিরিজ জিতে নেওয়ার পর এবার কোহলিদের লক্ষ্য একদিনের সিরিজ।