রাজ্যে বড়সড় লগ্নি টানতে সর্বদাই উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এবার এই লগ্নি টানার হাতিয়ার হয়ে উঠছে উপকূল। উপকূলকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগের লক্ষ্মীলাভের আশা করেছে নবান্ন। সেই আশা নিয়েই দীঘায় শুরু হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন। আর প্রথম দিনই দীঘা পেল একটি পাঁচতারা হোটেলের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব এল নেওটিয়া গ্রুপের কর্ণধার হর্ষবর্ধন নেওটিয়ার কাছ থেকে।
এবার দিঘায় বিদেশি পর্যটকদের টানতে পাঁচতারা হোটেল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন নেওটিয়া গ্রুপ। একদিকে যেমন কলকাতা থেকে অতি দ্রুততার সঙ্গে দীঘার পৌঁছতে পারবে পর্যটকরা, অন্যদিকে বিদেশ থেকে কলকাতায় এসে হেলিকপ্টারে করে দিঘায় পৌঁছতে পারবেন বিদেশি পর্যটকরাও। তাই বিদেশি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে পাঁচতারা হোটেল তৈরির ঘোষণা করলেন হর্ষবর্ধন নেওটিয়া।
পাশাপাশি তাজপুরে সমুদ্র বন্দর গড়ে উঠলে দীঘার পাঁচতারা হোটেলে থাকার সুযোগ পাবেন বিদেশি পর্যটকরা। হর্ষবর্ধন নেওটিয়া এদিন বলেন, ১০ বছর আগে দিঘায় এসে যা দেখেছিলেন, এখন অভাবনীয় ভাবে দীঘার পরিবর্তন হয়েছে। রাস্তারঘাটের পাশাপাশি দিঘার সৈকত নগরীর আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। ফলে পর্যটন ক্ষেত্র দীঘার যেমন গুরুত্ব বাড়বে, তেমনই বিদেশি পর্যটকরাও আসতে পারবেন। এর পাশাপাশি আড়ও কয়েকটি সংস্থা ফোর স্টার হোটেল তৈরির কথাও ঘোষণা করে।
পূর্বের সমুদ্র সৈকত দীঘার ভোল অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বেড়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। রাজ্যে এখন অনেকটাই উন্নত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্থান করে নিয়েছে দিঘা। আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দিঘার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে আগের থেকে। দিঘায় যে মানের হোটেল গড়ে উঠেছে, সেখানে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন।