আইজলের সাথে প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের পরে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে চার্চিলের কাছে কার্যত পর্যুদস্ত হয়েছিল মোহনবাগান। গোয়ার দলের কাছে চার গোল হজম করায় আঙুল উঠে গিয়েছিল মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনার দিকে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন এবার না জিততে পারলে চাকরি রাখা মুশকিল ভিকুনার। তাই আজকের ট্রাউ এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছিল বাগান কোচের কাছে। আর সেই ম্যাচে যে ফুটবল খেললেন বেইতিয়া, আশুতোষ মেহতা, নংদম্বা নওরেমরা তা দেখে অনেকেই বলছেন, এদিন মোহনবাগান খেলল মোহনবাগানের মতোই।
প্রথম দু’ম্যাচে যে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছিল মোহনবাগান, এদিন তা উধাও। গত ম্যাচে চার গোল হজম করায় এদিন বেঞ্চে বসতে হয় দেবজিৎ মজুমদারকে। শিল্টন পাল বিয়ের জন্য ছুটিতে। তাই এদিন আইলিগে অভিষেক হয় ঘরোয়া লিগে বাগানের জার্সিতে নিয়মিত খেলা শঙ্কর রায়কে। কিন্তু শঙ্করকে কার্যত কোনও পরীক্ষার মুখেই পড়তে হয়নি। এদিনের জয়ের ফলে তিন ম্যাচ খেলে বাগানের পয়েন্ট হল ৪।
আজ কল্যাণীতে যে জেতার খিদে নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন সবুজ-মেরুন খেলোয়াড়রা, তা বোঝা গিয়েছিল শুরু থেকেই। ৫ মিনিটের মাথাতেই বাগানকে এগিয়ে দেন ফ্রান গঞ্জালেস। তারপরই স্প্যানিশ টাচের ফুটবল শুরু করে বাগান মাঝমাঠ। আটটা, দশটা, কখনও কখনও নিজেদের মধ্যে বারোটার বেশিও পাস খেলতে দেখা যায় বেইতিয়া, মোরান্তে, ডানিয়েল সাইরাস, কলিনাসদের। এরপর মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল আসে ৩৮ মিনিটের মাথায়। ট্রাউ এফসির ডিফেন্ডারকে কার্যত কাঁধে নিয়ে ডানদিকে ওভারল্যাপে এসে ঠিকানা লেখা মাইনাস রাখেন আশুতোষ মেহতা। আর তা থেকে ক্লিনিক্যাল ফিনিশে গোল করে যান কেরলের ভূমিপুত্র ভিপি সুহের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৩-০ করেন গঞ্জালেস। এরপর একাধিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল সবুজ মেরুনের সামনে। কিন্তু তা থেকে আর গোল হয়নি। এরপর একদম অতিরিক্ত সময়ে শেখ ফৈয়াজের ক্রস থেকে অসাধারণ হেডে ৪-০ করেন শুভ ঘোষ। আইলিগে এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছে উত্তর-পূর্বের এই ক্লাব। তাদের কোচ আবার প্রাক্তন ইস্ট-মোহন তারকা ডগলাস দ্য সিলভা। কিছু পাহাড়ি ছেলে, কয়েকজন বাঙালি আর অখ্যাত বিদেশিতে সাজানো ডগলাসের দল মোহনবাগানের সামনে এদিন কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল।