গত শুক্রবার ভোররাতে হায়দ্রাবাদে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে খতম করে রাজ্য পুলিশ। এবার এই এনকাউন্টার মামলার তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে, বুধবার এই প্রস্তাব দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এনকাউন্টারে হায়দ্রাবাদের তরুণী পশুচিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে সাইবারাবাদ পুলিশ। তা নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী কাল বৃহস্পতিবার এর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই প্রস্তাব দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের কোন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিই এই মামলার তদন্ত করতে পারেন, রাজ্য সরকার ও মামলাকারীকে সেই নাম প্রস্তাব করার জন্য বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি জানান, এই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি পি রেড্ডিকে অনুরোধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, কিন্তু তিনি রাজি হননি।
৬ ডিসেম্বর ভোরের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নির্যাতিতা বিচার পেয়েছেন বলে গোটা দেশজুড়েই অভিনন্দনের জোয়ারে ভেসে যায় সাইবারাবাদ পুলিশ ও এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট ভিসি সজ্জনার। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া এড়িয়ে পুলিশ নিজেই আইন হাতে তুলে নিয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হওয়ায় এতে হস্তক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।
সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সজ্জনারের বক্তব্যকে চ্যালঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জিএস মণি ও প্রদীপকুমার যাদব। পৃথক ভাবে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট এমএল শর্মাও। মণি ও যাদব দাবি করেছিলেন নিরপেক্ষ তদন্তের, শর্মার দাবি ছিল সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করানো। দ্রুত শুনানির আবেদনও তাঁরা করেন, প্রধান বিচারপতি বোবদে সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
ইতিমধ্যে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টও ওই ৪ জনের দেহ ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংরক্ষিত করার নির্দেশ দিয়েছে গান্ধী হাসপাতালকে। কারণ ওই দিন পরবর্তী শুনানি। বাতানুকূল অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহগুলি মেহবুবনগর গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ থেকে গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।