বয়স ভাঁড়ানোর সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব-১৫ দল। ফেডারেশনের নিয়মের জালে আটকে গেছে শতবর্ষের এই ক্লাব। ফেডারেশনের নিয়মানুযায়ী, নথিভুক্ত করা খেলোয়াড়দের টিডব্লু ৩ টেস্ট করিয়েই খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। দেশের ক্লাবগুলি খুদে ফুটবলারদের বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যেন ফুটবল হাউসে নাম নথিভুক্ত করে। ওই সব ফুটবলারদের মধ্যে ২০ জন ফেডারেশনের পরীক্ষায় পাস না করলে সেই এজ গ্রুপে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারদের খেলতে দেওয়া হবে না।
ফেডারেশনের নিয়ম মোতাবেক অনূর্ধ্ব-১৫ আই লিগে ইস্টবেঙ্গল মোট ৪০ জন ফুটবলারকে নথিভুক্ত করায়। এদের মধ্যে মাত্র ১২ ফুটবলার পাস করেছে ফেডারেশনের পরীক্ষায়। ফলে এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ আই লিগ থেকে ইস্ট বেঙ্গল বাতিল হয়ে গেল। যা শতবর্ষে কলঙ্কিত করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে। সবচেয়ে বড় কথা, মঙ্গলবার বিশ্ব ফুটবল দিবসে লাল-হলুদ শিবিরে এ এক বড় ধাক্কা! এই শাস্তির জন্য কোয়েস এবং লাল হলুদের সাবেক কর্তারা পরস্পরকে দোষ দিচ্ছেন। তবে দুই তরফই দায়ী। এবার অনূর্ধ্ব-১৩ এবং অনূর্ধ্ব-১৫ এজ গ্রুপের দল যৌথভাবেই গড়েন কোয়েসের প্রতিনিধি এবং সাবেক কর্তারা।