পেঁয়াজ নিয়ে দেশ জুড়ে হাহাকার৷ যে হারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তাতে তা কিনতে গিয়ে চোখের জলে নাকের জলে হতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে৷ পেঁয়াজের ঝাঁজে এখন নাকানিচোপানি খাচ্ছে বহু রাজ্য। কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই, বরং পেঁয়াজের দামের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সেই গ্রাফ পৌছালো ২০০-তেও পৌঁছেছেও কোথাও কোথাও। আপেলের মতো দামি ফলও পেঁয়াজের থেকে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। আর সেই তুলনা টেনে অভিনব প্রতিবাদে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল। মঙ্গলবার দুপুরে কার্জন গেটে তৃণমূলের তরফে সকলকে বিলি করা হয় আপেল।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি সুফল বাংলার স্টল ছাড়া খোলা বাজারে কেজি প্রতি দেড়শোর নিচে মিলছে না পেঁয়াজ। পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার এমন অভিযোগ তুলেছেন। এবার এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অভিনব রাস্তায় হাঁটল পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল। সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডুর নেতৃত্বে আজ দুপুরে বর্ধমানের কার্জন গেটের কাছে পথচলতি মানুষজনকে আপেল বিলি করলেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রত্যেকের পোশাকের সঙ্গে প্রতিবাদী পোস্টার লাগানো ছিল, যাতে বড় করে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির জন্য মোদি সরকারকে দায়ী করে লেখা স্লোগান। পাশাপাশি সেখানে একটি ছোট প্রতিবাদ মঞ্চও ছিল জেলা তৃণমূলের তরফে।
শীতের দুপুরে রাস্তায় বেরিয়ে সুস্বাদু আপেল হাতে পেয়ে খুশি পথচারীরাও। তাঁরাও বলছেন, পিঁয়াজের তুলনায় আপেল এখন সস্তা। তাই স্বাস্থ্যের নজর রাখতে আপেল খাওয়ার অভ্যেস করছেন অনেকেই। জেলা তৃণমূলের এই উদ্যোগে খুশি তাঁরা। প্রতিবাদের মোড়কে সাধারণ মানুষের হাতে আপেল তুলে দেওয়া বিশেষ প্রশংসনীয়, বলছেন নবীন থেকে প্রবীণ – সকলেই। যতদিন পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না ততদিন এহেন প্রতিবাদ চলবে বলে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূল সংগঠন। পাশাপাশি, এহেন প্রতিবাদ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়বে বলেও জানান তাঁরা।