মমতার বিরোধিতা ছেড়ে এবার ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের গলায়। সমালোচনা ছেড়ে ধনকর জানিয়ে দিলেন, ‘এ রাজ্যে মমতাকে আমি ‘আয়রন লেডি’ হিসাবেই মানি।’
বর্তমানে বিল পাশ ইস্যুতে বিধানসভা জুড়ে রাজ্যপাল বিরোধী সুর বেশ চরমে উঠেছে। যদিও রাজভবনের দাবি, রাজ্যপাল কোনও বিল ফেলে রাখেননি। বিলগুলিকে যাতে দ্রুততার সঙ্গে পাশ করানো যায় তার জন্য যে দফতরের বিল সেই দফতরের কাছে বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। তারা তথ্য দিতে দেরি করার জন্যই সমস্যা হচ্ছে। এরইমাঝে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বলেন, ‘আমি ওনাকে(মমতা) বলব, উনি যেন লড়াই না করেন। বরং যে সমস্যা চলছে তার যেন সমাধান করেন। আর এইসব বিষয়কে উনি যেন ব্যক্তিগত ভাবে না দেখেন। আমি ওনাকে এবং ওনার শক্তিকে সম্মান করি। উনি একজন ‘লৌহ মানবী’। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওনাকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। তাছাড়া উনি এমন কোনও জায়গা দেখাতে পারবেন না যেখানে আমি সাংবিধানিক দিক থেকে ভুল।’
উল্লেখ্য, বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি বিলে এখনও পর্যন্ত সাক্ষর করেননি রাজ্যের রাজ্যপাল । এর প্রেক্ষিতেই গত ৫ ডিসেম্বর এক বেনজির ঘটনা ঘটে বিধানসভায়। গত ৩ ডিসেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, রাজ্যপাল বিল সাক্ষর না করার জন্য আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতির জেরে ৫ ডিসেম্বর বিধানসভা আসার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। তবে অধ্যক্ষের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় ওই দিন তিনি থাকবেন না।
তবে সেসবকে গুরুত্ব না দিয়ে ৫ ডিসেম্বর সটান বিধাসভায় আসেন জগদীপ ধনকর। নজিরবিহীনভাবে বিধাসভার ভিআইপি গেট তখন বন্ধ থাকে। যার ফলে ক্ষুব্ধ হন ধনকর। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অপেক্ষা করার পর অন্য সাধারণ গেট দিয়ে বিধাসভা ঢোকেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, অধিবেশন স্থগিত থাকলেও বিধানসভার সচিবালয় চালু থাকার কথা। সেটাও বন্ধ ছিল।