আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি যুবরাজের সঙ্গে তুলনা টানা শুরু হয়ে গেছে। মাঠে তাঁর স্টান্ট থেকে শুরু করে বোলিং অ্যাকশন সব কিছুর মধ্যেই যুবির ছায়া দেখা গেছে। এমনকি মুখের মধ্যেও কোথাও যেন লুকিয়ে আছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের ছায়া। সেই শিবম দুবের সৌজন্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ভারতের স্কোর ১৭০-এ পৌঁছেছিল। ৩০ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। মারেন তিনটি চার, চারটি ছয়। ম্যাচের পরে আত্মবিশ্বাসী শিবম জানিয়েছেন, যে কোনও মাঠই পার করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে তাঁর।
ভারতের এই তরুণ অলরাউন্ডার বলেন, ‘‘তিরুঅনন্তপুরমে এই মাঠটা কিন্তু বেশ বড় ছিল। তবে আমার ক্ষমতা আছে যে কোনও মাঠে ছয় মারার। রবিবার আপনারা সেটা নিশ্চয়ই কিছুটা বুঝতে পারলেন।’’ শিবমের ইনিংস সত্ত্বেও ভারত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৭০ রানের বেশি তুলতে পারেনি। যা ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। নয় বল বাকি থাকতে দু’উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে সিরিজ ১-১ করে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বুধবার, মুম্বইয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ।
তবে ইনিংসের শুরুর দিকে সে ভাবে ঝড় তুলতে পারেননি শিবম। প্রচণ্ড জোরে শট মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গন্ডগোল করে ফেলছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুম্বইয়ের এই অলরাউন্ডার পরিষ্কার বলছেন, ‘‘শারীরিক শক্তিটাই আমার বড় অস্ত্র। আর এই পাওয়ার ক্রিকেটটা খেলতেই আমি ভালবাসি।’’
ইনিংসের শুরুতে শিবম যখন সমস্যায় পড়েছিলেন, রোহিত শর্মা তাঁকে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দেন। বলেন, নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে। ভারতের সহ-অধিনায়কের পরামর্শ কাজে লাগে শিবমের। ম্যাচের পরে শিবম বলেছেন, ‘‘আমাকে তিন নম্বরে ব্যাট করার একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমার কাছে খুব বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এটা। শুরুতে অবশ্যই চাপের মধ্যে ছিলাম। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যেটা খুবই স্বাভাবিক।’’
রোহিতের পরামর্শ যে তাঁর খুব কাজে লেগেছে, তা স্বীকার করেছেন শিবম। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই সময় রোহিত ভাই আমাকে বলেছিল, মাথা ঠান্ডা রাখো আর নিজের ক্ষমতার উপরে ভরসা রাখো। যেটা তোমার স্বাভাবিক খেলা, সেটাই খেলো। এক জন সিনিয়র ক্রিকেটারের থেকে ওই সময় এ রকম পরামর্শ দরকার ছিল আমার। একটা ছয় মারার পরেই সব ঠিক হয়ে যায়।’’