প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখাই দেশের খারাপ অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের কারণ৷ একদিন আগে এই মন্তব্য করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন৷ তাঁর এই ডাইগোনসিসের প্রশংসা করল শিবসেনার মুখপত্র সামনা৷ শিবসেনা মোদী সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, কেন্দ্র চায় অর্থমন্ত্রী ও আরবিআই গভর্নরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে৷ বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ শোনে না৷ শিবসেনা বলে, জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধী দেশের বর্তমান অর্থনীতির জন্য দায়ী নয়৷ মারাঠি প্রকাশনায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও মন্ত্রীদের ক্ষমতাহীনতা – অর্থনীতির জন্য ভালো নয়৷ বর্তমান সরকার অর্থনীতিবিদের কথা না শোনায় অর্থনীতি বেহাল৷ কেন্দ্র দেশের অর্থনীতি শেয়ার বাজার সাট্টা বলে মনে করে৷ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে ব্যঙ্গ করে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, আমি পেঁয়াজ খাই না৷ কাজেই আপনিও খাবেন না৷
সামনায় আরও বলা হয়েছে, অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে৷ আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন সঠিক রোগ নিরাময় করেছেন৷ সরকার অর্থনৈতিক মন্দার কথা মানতে চায় না৷ দেশে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছুঁয়েছে৷ অথচ অর্থমন্ত্রী বলছেন, আমি পেঁয়াজ, রসুন খাই না৷ সেনা আরও বলে, প্রধানমন্ত্রী অবস্থার পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন না৷
সম্প্রতি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে মূলধন, জমি এবং শ্রম আইনের ঢালাও সংস্কারের সুপারিশ করে রাজন বলেন, ‘আগের সরকারগুলি ভঙ্গুর জোট করে তৈরি হলেও তারা বরাবর অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে হেঁটেছে। কিন্তু, এই সরকারে সমস্ত ক্ষমতার চূড়ান্ত কেন্দ্রীভবন, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের ক্ষমতাহীনতা এবং সুসংহত পরিচালন দৃষ্টিভঙ্গীর অভাবের কারণে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নেক নজর না পড়লে কোনও সংস্কারের পদক্ষেপ জোর পায় না।’‘মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেছিল মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এই স্লোগানের প্রায়শই ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই স্লোগানের তাৎপর্য হল, সরকার দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে। কিন্তু, বহু ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা আগের থেকে কমার বদলে অনেক বেড়েছে,’ রাজন লেখেন।