লাভপুরে একই পরিবারের তিন ভাইয়ের হত্যা মামলায় নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল পুলিস। নতুন করে চার্জশিটে নাম জুড়ল বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলামের। তার সঙ্গে এই ঘটনায় ‘প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগে নাম জুড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। এই ঘটনা সামনে আসতেই বেশ বিপাকে বিজেপি।
বালিরঘাটের দখলদারির দ্বন্দ্ব মেটাতে ২০১০ সালের ৪ জুন লাভপুরের নবগ্রামে নিজের বাড়ির উঠোনে সালিশিসভা ডেকেছিলেন মনিরুল ইসলাম। তখন তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন। সেই সভায় বচসার জেরে তিন ভাই কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরু শেখকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। মনিরুল ইসলাম–সহ ৪২ জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ২০১১ সালে একটি জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘তিনজনকে মেরে দিয়েছি।’ তাঁর কথায় বিতর্ক তৈরি হয়।
জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের লাভপুর হত্যা মামলার নতুনভাবে তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তাই চলতি মাসে ঘটনার তদন্তকারী অফিসার বোলপুর আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। চার্জশিট জমা পড়তেই বীরভূম জেলায় রাজনৈতিক তর্জা উস্কে উঠেছে। তবে মৃতদের মা জরিনা বিবি মনিরুল ইসলাম সহ অন্য অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
বোলপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল বলেন, লাভপুরের ওই খুনের মামলায় আগের চার্জশিটে মনিরুল সাহেবের নাম ছিল না। সেই সময় চার্জশিটে ৪২ জনের নাম ছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিস আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে। এই চার্জশিটে ২৩ জনের নাম রয়েছে। তাতে মুকুল রায়ের নামও রয়েছে। মামলাটি বারাসত আদালতে স্থানান্তরিত হবে। ওই আদালতে এমএলএ, এমপিদের মামলা চলে। তাই নিয়ম মেনে সেখানেই মামলাটি চলবে। রবিবার সেই চার্জশিট গৃহীত হওয়ার পরই গ্রেফাতরি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল।