বাংলার উপনির্বাচনে তুমুল ধরাশায়ী হলেও কর্ণাটক উপনির্বাচনে বিরাট জয় পেল বিজেপি৷ অন্যদিকে, হারের দায় নিয়ে বিধানসভায় দলের পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিদ্দারামাইয়া৷ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে দরকার ছিল অন্তত ৭টি আসনে জয়। কিন্তু কর্নাটকের বিধানসভা উপনির্বাচনে ১৫টির মধ্যে ১২টিতেই জিতল বিজেপি। অন্যদিকে ২ আসনে জয় পেল কংগ্রেস এবং ১টি আসনে জয়ী নির্দল প্রার্থী। ২০১৮ সালে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে এই ১৫ আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছিল কংগ্রেস, ৩টিতে বিজেপি এবং ১টিতে কেপিজেপি।
এদিন ফল প্রকাশের পর সিদ্দারামাইয়া বলেন, গণতন্ত্রে আমাদের মানুষের রায় মাথা পেতে নিতে হবে৷ মানুষ যা রায় দিয়েছেন, তা আমরা সম্মান করছি৷ তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন৷ এছাড়াও পদত্যাগপত্রের কপি পাঠানো হয়েছে এআইসিসি-র কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেসি বেনুগোপাল ও কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাওয়কে৷ উপনির্বাচনে জেতার পর থেকে গেরুয়া শিবিরে চলছে মিষ্টিমুখ, বাঁধভাঙা আনন্দ৷ মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ভোটাররা ১৫টার মধ্যে ১২ আসনে আশীর্বাদ করেছেন৷ দলীয় কর্মীদের পরিশ্রমের জন্য আমরা জিতেছি৷ আমি জাতীয় নেতাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই৷ আমি কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে৷
গত জুলাইতে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের ১৭ জন বিধায়ক একসঙ্গে ইস্তফা দিলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। তার ফলে পতন ঘটে এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারের। ক্ষমতায় আসে বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা সরকার। ওই ১৭টি আসনের মধ্যে ১৫টি উপনির্বাচন হয় গত ৫ ডিসেম্বর। বাকি ২টি আসনে ভোট হয়নি। এদিন সকালে গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৫ টি আসনের অধিকাংশতেই এগিয়ে যায় বিজেপি।