উন্নাওয়ের ধর্ষিতা দগ্ধ তরুণীর মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার গভীর রাতে। তারপর থেকেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উপর চাপ বাড়াতে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা। শনিবারই উন্নাওয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে যান কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। অন্যদিকে বিধান ভবনের বাইরে ধর্নায় বসার কর্মসূচী নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
গণধর্ষণকাণ্ডে যোগী সরকারকে নিশানা করে শনিবার অখিলেশ যাদব বলেন, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে, আর রাজ্যের সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।’ অখিলেশের পাশাপাশি প্রতিবাদে সামিল হয়েছে কংগ্রেসও।
টুইটে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেছেন, ‘হায়দরাবাদের ঘটনার পরে উন্নাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। কেন নির্যাতিতা তরুণীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারল না প্রশাসন?’ তিনি উন্নাওয়ের অন্য ধর্ষিতার উদাহরণ টেনেছেন। যে মামলায় মূল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। গত জুলাই মাসে ওই নির্যাতিতা যখন উকিলের বাড়িতে যাচ্ছিলেন, ট্রাক দিয়ে পিষে দেওয়ার চেষ্টা হয় তাঁদের গাড়িকে। সোনিয়া-কন্যা ওই ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘একই জেলায় কয়েক মাসে যখন এই ঘটনা ঘটল, তখন কেন প্রশাসন সতর্ক হল না?’
উল্লেখ্য, গতবছর ১২ ডিসেম্বর উন্নাওয়ের এক গ্রামে ধর্ষণ করা হয় তরুণীকে। চলতি বছর মার্চ মাসে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। শিবম ও শুভম ত্রিবেদী নামের দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সে জামিনও পেয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার এই মামলা সংক্রান্ত তথ্য দিতেই আদালতে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময় মেয়েটিকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুই ধর্ষক-সহ পাঁচ দুষ্কৃতী। সে দিন উন্নাও দেখেছিল, জ্বলন্ত অবস্থায় এক তরুণী রাস্তা দিয়ে আর্ত চিৎকার করতে করতে যাচ্ছেন। সেই অবস্থাতেই তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন ওই তরুণী। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই নির্যাতিতার।