রবিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে মোহনবাগান বনাম চার্চিল ব্রাদার্স আই লিগের ম্যাচ। যে ম্যাচ ঘিরে দুই দলের সমর্থকদের উন্মাদনার শেষ নেই। কারণ আগামীকালের মুখ্য দ্বৈরথ হবে ভয়ঙ্কর উইলিস ডিয়ন প্লাজা বনাম স্থিতধী ড্যানিয়েল সাইরাসের।
দুরন্ত ছন্দে থাকা প্লাজাকে আটকাতে মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার প্রধান অস্ত্র হতে পারেন ড্যানিয়েল। তার অন্যতম কারণ, প্লাজাকে খুব ভাল চেনেন সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার। দু’জনেই ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছেন। এ দিন সকালে মোহনবাগান মাঠে ড্যানিয়েলের বিরুদ্ধে সালভা চামোরোকে খেলিয়ে সেই দ্বৈরথের মহড়া দিলেন।
সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার শান্ত ভাবে বললেন, ‘‘স্ট্রাইকার ছিলাম আমি। ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ঠিক আগে আমাদের দলের এক ডিফেন্ডার চোট পেয়ে ছিটকে যায়। কোচ আমাকে রক্ষণে খেলতে বলেন। তাই প্লাজাকে আটকানোর ব্যাপারেও আমি আত্মবিশ্বাসী।’’
দু’বছর আগে ইস্টবেঙ্গলে খেলা যাওয়া প্লাজা নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, খেলায় মন নেই ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো স্ট্রাইকারের। শুক্রবার বিকেলে মোহনবাগান মাঠে দেখা গেল, অনুশীলন ম্যাচেও গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে খেলছেন। সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ভুলত্রুটিও শুধরে দিচ্ছেন। নিজেকে বদলে ফেলার রহস্যটা কী? প্লাজার ব্যাখ্যা, ‘‘কলকাতায় সব চেয়ে বড় সমস্যা, ফুটবলারেরা শুধু নিজেদের জন্য খেলে। চার্চিলে সবাই দলের জন্য খেলে। কে গোল করল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। দলের জয়টাই আসল।’’
ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে চার্চিলে যোগ দিয়েছিলেন প্লাজা। সেই যন্ত্রণা বলছিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল খেলার সময় যে সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিল, তা পাইনি। এ ছাড়া পারিবারিক সমস্যাতেও জর্জরিত ছিলাম। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে খেলতে বাধ্য হয়েছিলাম। চার্চিলে আমি খোলামনে খেলছি। ফুটবল উপভোগ করছি।’’