মোদী সরকারের অন্যতম হেভিওয়েট মন্ত্রী তিনি। কিন্ত সেই তাঁর পক্ষেও দুরূহ হয়ে গিয়েছে নিজের বকেয়া সরকারি কাজ শেষ করা। কারণ কাঁটা হচ্ছে অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। হ্যাঁ, এবার কার্যত নজিরবিহীন ভাবেই ভরা লোকসভায় দাঁড়িয়ে আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দিকে আঙুল তুললেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গাডকরি৷
নতুন রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে বা পুরোনো রাস্তার মেরামত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের সামনে বড় অন্তরায় হয়ে উঠেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের আপত্তি৷ এই সমস্যায় জেরবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের বহু প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে মাঝপথে৷ বৃহস্পতিবার এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন গাডকরি৷
তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের থেকে জমি নিতে (অধিগ্রহণ) করতে গিয়ে যে কত পাঁপড় বেলতে হচ্ছে (উত্তর ভারতের প্রচলিত প্রবাদ, অর্থ হল কী পরিমাণ কসরত করতে হচ্ছে) তা আমরাই জানি৷ মনোহর পারিকরজি (প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী) এবং আমি এটা প্রত্যক্ষ করেছি৷’ বৃহস্পতিবার লোকসভার অধিবেশনে যখন হাসতে হাসতে এ কথা বলছেন গাডকরি, তখন গোটা সভা কার্যত বিস্মিত৷
তাঁর কথায়, ‘কোথাও না কোথাও তো একটাই সরকার৷ তা সত্ত্বেও কাজ আটকে যাচ্ছে৷ ছোট ছোট কারণে জমি আটকে রাখার জেরে নির্ধারিত সময়ে জমি অধিগ্রহণ না করার ফলে প্রকল্পের খরচ বেড়ে যায়৷ একটা গাছ উপড়াতে গেলে বন-পরিবেশ মন্ত্রক ছ’মাস অনুমতি আটকে রাখে৷ মাননীয় স্পিকার মহোদয়, দেশে কাজ করো বলে কেউ এগিয়ে আসছে না, সবাই বলছে কাজ বন্ধ করো৷’
পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী৷ গাডকরি বলেন, ‘কামঠি (নাগপুরের একটি এলাকা)তে সেনা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কাজ করতে গিয়ে প্রবল সমস্যা হয়েছে৷ ক্যান্টনমেন্টের লোকেরা বন্দুক নিয়ে তাড়া করে ঠিকাদারকে তাড়িয়ে দিয়েছে৷ দেড় মাস আগে আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি৷ আজ আবার কথা বলব৷’
সেইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমি মাননীয় সাংসদদের অনুরোধ করব, আপনারা নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে দেখুন কেন বিভিন্ন জাতীয় সড়কের কাজ আটকে রয়েছে৷ ঠিকাদার হাওয়ায় কাজ করতে পারে না৷’