উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী । সেখান গিয়ে তিনি বলেন, ‘যোগীর রাজ্যে মহিলাদের কোনও জায়গা নেই৷ গত এক বছর ধরে নির্যাতিতার পরিবারকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে৷ আমি শুনেছি, অপরাধীদের বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ আছে৷ এই কারণে তাদের আড়াল করা হয়েছে৷ এখানে অপরাধীদের কোনও ভয় নেই৷ তারা বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করতে পারে৷’ গত কাল এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লীর সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি উন্নাওয়ের নির্যাতিতা সেই তরুণীকে। এরপর প্রতিবাদে সরব সারা দেশ৷ আজ তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানান প্রিয়াঙ্কা৷
তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বারবার বলেছেন, এখানে অপরাধীদের জায়গা নেই৷ কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, মহিলাদেরই কোনও স্থান নেই এখানে৷’ কেন ২৩ বছরের মহিলাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যে পুলিশরা এফআইআর নিতে অস্বীকার করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রবণতা কমাতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে?’ অন্য একটি টুইটে তিনি পরিবারকে পাশে থেকে সাহস জোগান৷
ধর্ষণের মামলার শুনানির জন্য আদালতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন বছর তেইশের ওই তরুণী। তাঁকে আদালতে যেতে প্রথমে বাধা দেয় পাঁচ জন। তাদের মধ্যে শিবম ও শুভম ত্রিবেদী তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত। বাকিদের তরুণী চেনেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। হুমকিতে কান না-দেওয়ায় কাল ভোরে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় তরুণীকে। তাঁর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কোনও মতে পালিয়ে পুলিশকে ফোন করেন ওই তরুণী। রাতেই তাঁকে দিল্লী নিয়ে আসা হয়। গত কালও এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আজও তিনি বলেন, ‘গত ১১ মাসে শুধু উন্নাওয়েই ৯০ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সরকারকে ভাবতে হবে তারা মহিলাদের পাশে আছে, না কি অপরাধীদের।’ প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও আজ প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। পাঁচ অভিযুক্তকে আজ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।