শনিবার ৫ দফা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট ঝাড়খন্ডে। নির্বাচনে মাওবাদী হামলার আশঙ্কা প্রবল থাকায় ৪৮ লক্ষের বেশি ভোটারের নিরাপত্তার কারণে এদিন ৪২ হাজারের বেশি রক্ষী মোতায়েন করাও হয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য এত নিরাপত্তা, এবার পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল তাদেরই একজনের।
এদিন সকাল থেকেই একাধিক বুথ দখলের অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল। সামনে এসেছে বিস্ফোরণের ঘটনাও। তারই মাঝে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় গুমলার সিসোই বিধানসভার বাঘনি গ্রামে। বেলা গড়াতেই এই গ্রামের ভোটকেন্দ্রে রিগিং শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই রিগিং রুখতে গুলি চালায় নিরারত্তারক্ষীরা। আর তাতেই মৃত্যু ঘটে এক যুবকের। গুলিতে জখম হন আরও তিনজন।
জখম যুবকরা সংখ্যা সম্প্রদায়ের। তাদের নাম জিলানি, তবরেজ ও আশফাক আনসারি। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহত যুবক ভোটার বলেই দাবি করছেন বাঘনি গ্রামের বাসিন্দারা। ভোটারদের অভিযোগ, নিরাপত্তার কথা বলা হলেও তেমন কিছু ছিলনা প্রথম দিকে।
যুবকের মৃত্যুর পর গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হতে পড়েন। শুরু পুলিশের উপর পাথর ছোঁড়া। অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছে করে গুলি চালিয়েছে। বাঘনি গ্রামের মহিলারাও বঁটি-কাটারি-দা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। তাদের অবরোধের জেরে আরও গরম হয় পরিস্থিতি।
এরপরই প্রচুর পুলিশ ও সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুথ কেন্দ্র-সহ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে তারা। সাময়িক ভাবে বন্ধ ভোটগ্রহণও।