ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ধরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। দেশের নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়েছে। হায়দ্রাবাদ কাণ্ডের অপরাধীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবির মধ্যেই গতকাল পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায় চার অভিযুক্ত। তবে তাতেও হেরফের হচ্ছে না এহেন নারকীয় ঘটনার। ধিক্কার শব্দটা ক্রমশই তার মর্যাদা হারাচ্ছে। গণরোষ, প্রতিবাদ, আইনকানুন সবকিছুই অর্থহীন হয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে। এহেন ঘটনা ঘটার রেশে কিছুতেই লাগাম দেওয়া যাচ্ছে না। এবার মধ্যপ্রদেশের এক স্কুল শিক্ষিকার ওপর নৃশংস নির্যাতন চালাল চারজন।
ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের বুলন্দ শহরের। পুলিশ জানিয়েছে, সিধি শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকাকে সন্ধেবেলা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় চারজন। ধর্ষণের পরে মারধরও করা হয় শিক্ষিকাকে। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ স্কুলের পরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। স্কুল থেকে তাঁর বাড়ির পথ কিছুটা নির্জন। খুব দ্রুতই হাঁটছিলেন তিনি। আচমকাই তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়ায় চার যুবক। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে তারা চুলের মুঠি ধরে টেনে আনে তাঁকে। এরপর টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় রাস্তার পাশে একটি নির্জন স্থানে। মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে যৌন নির্যাতন চালানো হয় তাঁর উপর। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মারধরও করে তাঁকে। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা পালিয়ে যায়। কোনওরকমে টলতে টলতে বাড়ি ফেরেন তিনি। সব কথা জানান পরিবারকে। ওই দিন রাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় বাচ্চু লোনিয়া, ভিরু লোনিয়া, নরেন্দ্র লোনিয়া ও শিবশঙ্কর লোনিয়া নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় তারা ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছে।