চালু হতে চলেছে ‘ভোরের আলো’র বেশ কিছু প্রজেক্ট। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘ভোরের আলো’ পিপিপি মডেলে তৈরির কাজ চলছে। যার মধ্যে বেশ কিছু প্রজেক্ট প্রাইভেট স্টেক হোল্ডার্সরা চালু করতে চলেছেন আগামী ২২ তারিখ। তারই প্রস্তুতির জনে একটি বৈঠক করা হল বলে জানালেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা জগন্নাথ সরকার, পূর্ত দফতরের আধিকারিক অনিন্দ্য রায়, বনদফতরের পিসিসিএফ রবিকান্ত সিনহা।
এদিনের বৈঠকের শেষে মন্ত্রী বলেন, এই ভোরের আলোতে ২৫ মিটার উঁচু একটি ব্রিজ তৈরি করা হবে। যা সেবকের করোনেশনের ধাঁচে এবং আরও সুন্দর আলো দিয়ে তা ফুটিয়ে তোলা হবে। তারও কাজ শুরু হবে। এই এলাকায় দোকানদারদের জন্য স্থান পর্যালোচনা করে জানুয়ারিতে তার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি যে ১৪ টি পরিবারে জমির বিষয় রয়েছে, তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও এদিন মন্ত্রী আরও বলেন, ৪টি হাতি দিয়ে এই এলাকায় পিলখানা চালু হতে চলেছে আগামী ২৫ তারিখ থেকে। এছাড়াও ১.৫ কিমি এলাকা জুড়ে বোটিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। গজলডোবা, লাটাগুড়ি ৫৩ কিমি রাস্তার কাজের বিষয়ে পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা চলছে। আগামী বাংলা নববর্ষে অর্থাৎ পয়লা বৈশাখের আগেই ভোরের আলোর কটেজ গুলি চালু করা হবে। ইকোপার্কের কাজ চলছে। বনাঞ্চল লাগোয়া হওয়ায় এই প্রকল্পের এলাকায় হাতির আগমণ রুখতে পরিখা খনন করা হবে।
উল্লেখ্য, ট্যুরিজম নিয়ে এই এলাকায় কোর্স চালুর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে এবং এসআইএইচএম-এর মারফত দুর্গাপুরের আদলে হোটেল ম্যানেজমেন্ট চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। যার জন্য প্রায় ৫ একর জমির প্রয়োজন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ একর জমিতে তার কাজ শুরু করা হবে।