দেশ ছেড়ে পালিয়ে ইকুয়েডরে গিয়ে একটি গোটা দ্বীপও কিনে ফেলেছেন এই ধর্মগুরু। এদিকে তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করা ছাড়া আর বিশেষ কিছুই করতে উঠতে পারেনি সরকার। স্বঘোষিত গডম্যান স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শিশুদের অপহরণ করে নিজের আশ্রমে আটকে রাখার মতো গুরুতর অভিযোগ। এবার এই অভিযুক্তই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল সরকারের দিকে। একটি ভিডিওতে তঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি স্বয়ং শিব। আমাকে আইন ছুঁতেও পারবে না।’
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে যাওয়া ওই ভিডিওতে নিত্যানন্দকে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘গোটা দুনিয়া আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে। ওদের কথা শোনার দরকার নেই। তুমি যদি আমার প্রতি নিজের ভক্তি অটুট রাখো, তাহলে আমিও তোমার ওপরে আমার আশীর্বাদ বর্ষণ করব। আমিই তোমাকে জগতের আসল সত্য দেখাতে পারি। কোনও ফালতু আদালত আমার বিচার করতে পারবে না। আমি আমার ডিএনএর মধ্যে ঢুকে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। চাইলে মৃত্যুকেও ঠেকিয়ে দিতে পারি।‘ এরপরেই ভক্তদের উদ্দেশে তাঁর প্রলোভন, ‘আমার কাছে নিজের ভক্তি প্রমাণ করো। আমি চাইলে তোমাদের মৃত্যুও ঠেকিয়ে দিতে পারি।‘
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ইকুয়েডরে তিনি একটি দ্বীপ কিনে সেই দ্বীপের নাম রেখেছেন ‘কৈলাশ’! শুধু তাই নয়, সেই দ্বীপের পতাকা, পাসপোর্ট, এমব্লেম সবই নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে তিনি একজন প্রধানমন্ত্রীও নিয়োগ করবেন বলে জানা গিয়েছে। নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে কর্নাটকে একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। এহেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকার সেইরকম সুবিধা করে উঠতে পারেনি। তাঁকে গ্রেফতার করার কোনো উদ্যোগই নেয়নি সরকার। তাই নিত্যানন্দের এহেন ভিডিও সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।