মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগেই আগুন ধরিয়েছিল রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি। তারপর কেজি প্রতি ১৬০ টাকা দাম হয়ে যাওয়া পেঁয়াজের ঝাঁজে যখন প্রায় কাঁদো কাঁদো দশা সাধারণ মানুষের, তখন তাঁদের জন্য আরও বড় দুঃসংবাদ হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে পেঁয়াজের মত বাড়তে পারে ভোজ্যতেলের দামও। কারণ চলতি বছরে মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে অসময়ে অতিবৃষ্টির দরুণ চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সোয়াবিন-সহ একাধিক খারিফ তৈলশস্যের চাষ।
প্রসঙ্গত, দেশের জোগানে টান পড়লে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলি থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে পাম তেল আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেয় কেন্দ্র। কিন্তু চলতি বছরে ওই দেশগুলি নিজেদের দেশে বায়ো-ফুয়েল প্রোগ্রামের পরিধি বাড়ানোয়, সেখানে পাম তেলের চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। ফলে সেখান থেকে তেল আমদানি করার পিছনেও বাড়তি কড়ি গুনতে হচ্ছে। যার নিট ফলস্বরূপ, গত দু’মাসে অনেকটা অগোচরেই ২৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে অপরিশোধিত পাম তেলের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে সর্ষে এবং সোয়াবিন-সহ একাধিক খারিফ তৈলশস্যের দামও।
চলতি রবি চাষের মরসুমেও শস্য বপনের হার প্রত্যাশার তুলনায় কমই রয়েছে। যার সামগ্রিক প্রভাব অচিরেই পড়তে চলেছে দেশবাসীর হেঁশেলে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ঘরোয়া বাজারে তেল এবং তৈলশস্যের দাম বাড়ার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে তা বেড়ে যাবে অনেকটাই। এ বিষয়ে রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের খাদ্য, গণবন্টন এবং ক্রেতাবিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আগের বছরের তুলনায় ৩ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি কম সোয়াবিন উৎপাদন হওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা বেড়েছে।