বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর ১২৪ দিন কেটে গেলেও এখনো স্বাভাবিক হল না উপত্যকা। কাশ্মীরে এখনও এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। দোকানপাটও খোলা থাকছে মাত্র চারঘণ্টা— সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত। এতে সাধারণের যেমন সমস্যা হচ্ছে তেমনই কাশ্মীরের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
আগস্টের পরে উপত্যকার আর্থিক ক্ষতির হিসেব কষতে শুরু করেছে কাশ্মীরের বণিক সংগঠন কেসিসিআই। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১২৪ দিনে ১৫ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
কেসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ আশিক আহমেদ বলেছেন, “পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এর ফলে কাশ্মীরের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি জানতে প্রত্যেক ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। ব্যবসায়ীদের থেকে আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতেই আমরা কেবল তথ্য সংগ্রহ করছি না। এই রিপোর্ট আমরা প্রকাশ করতে চাই”।
৫ আগস্টের পর থেকে উপত্যকায় ব্যবসায় যেন রক্তপাত শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় যোগাযোগের অভাবে বহু ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫০ হাজার হস্তশিল্পী কর্মচ্যুত হয়েছেন। আর হোটেল এবং রেস্তরাঁয় কাজ হারিয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাছাড়া ক্যুরিয়ার এবং ই-কমার্স ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ১০ হাজার কর্মী। যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে একসময় প্রতিদিন উপত্যকায় ১২০ কোটি টাকা করে লোকসান হতো। এখন পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর পর্যটকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর ১০ হাজার পর্যটক এখানে এসেছেন। গত বছরের তুলনায় এটা ১৯৫ শতাংশ কম।