‘আমরা অপরাধী নই’- কাশ্মীরে বন্দী এনসি সাংসদ ফারুক আবদুল্লার চিঠি শেয়ার করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর৷ তিনি ট্যুইট করে এই চিঠি শেয়ারের পাশপাশি লেখেন, ‘বন্দী ফারুক সাহেবের চিঠি। সংসদের সদস্যকে অধিবেশনে আসার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল তাঁকে।এটা সাংসদীয় অধিকার। অন্যথায় এই গ্রেফতারিকে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর রদ করার প্রয়াস হিসেবে দেখা হতে পারে। সংসদে যোগ দেওয়া গণতন্ত্র ও জনপ্রিয় সার্বভৌমত্বের জন্য আবশ্যক।’ চিঠিতে ফারুক আবদুল্লা তাঁকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে উপস্থিত না থাকতে দেওয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফারুক আবদুল্লা ও অন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, যাঁর পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বিজেপির সঙ্গে জোটে রয়েছে, সেই দলের শতাধিক রাজনৈতিক নেতারা আটক রয়েছে দুই নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের একটিতে।
অন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হল লাদাখ। আবদুল্লা তাঁর চিঠিতে লেখেন, ‘আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ, যেটা আপনি আমাকে ২১ অক্টোবর ২০১৯-এ পাঠিয়েছিলেন। আমাকে আজ এই চিঠি আমার ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছেন যিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সাব-জেলে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ওঁরা আমাকে সময়ে এই চিঠিটি দেননি। আমি নিশ্চিত এটা সংসদের একজন বর্ষীয়ান সদস্য এবং এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সঠিক আচরণ নয়। আমরা অপরাধী নই।’ প্রসঙ্গত, কেন্দ্র এখনও এই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। বিরোধী কংগ্রেস সংসদে জম্মু ও কাশ্মীরের নেতাদের দীর্ঘদিন ধরে আটক থাকার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্র ফারুক আবদুল্লাকে ছাড়তে চাইছে না তাঁর মুখ বন্ধ রাখার জন্য।
উল্লেখ্য, ফারুক আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে আটক করে রাখা হয়েছে। এই আইনে দু’বছর পর্যন্ত কাউকে আটক রাখা যায়।এই প্রথম কোনও মূলধারার রাজনীতিবিদের উপরে এই নিয়ম বলবৎ করা হল। বিশেষ করে একজন সাংসদ ও তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সাধারণত জঙ্গীদের গ্রেফতার করার এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয় তাদের পাথর ছোঁড়া ব্যক্তিদের হাত থেকে বাঁচাতে। এই আইন কাশ্মীরে প্রচলন করেছিলেন ফারুকের বাবা শেখ আবদুল্লা৷