এনসিপির সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ পুরষ্কার হিসেবে ফডববিশ সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ তো পেয়েইছিলেন, পাশাপাশি ৭০ হাজার কোটি টাকার সেচ দুর্নীতি থেকেও ক্লিনচিট পাচ্ছিলেন। কিন্তু, ৮০ ঘন্টার সেই সরকার পতনের পরই বিতর্কের জেরে তা ভেস্তে গিয়েছিল। তবে ফের কাকা শরদ পাওয়ারের কাছে ফিরে গিয়ে লাভবান হলেন সেই অজিত পাওয়ারই!
প্রসঙ্গত, দেবেন্দ্র ফডনবিশের পদত্যাগের পরই মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন করে কংগ্রেস, শিব সেনা ও এনসিপির মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। জল্পনা শুরু হয় ফের উদ্ধব ঠাকরের ডেপুটি পদে যোগ দেবেন অজিত। সেই জল্পনার মাঝেই মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে হওয়া সেচ দুর্নীতির মামলা থেকে ক্লিনচিট পেলেন তিনি। মহারাষ্ট্র দুর্নীতিদমন শাখার তরফে নাগপুর আদালতে একটি হলফনামা জমা করা হয়েছে। তাতে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ভাইপোকে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসে শিব সেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি সরকার। তার ঠিক আগের দিনই মহারাষ্ট্র এসিবির তরফে বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চে বিদর্ভ সেচ দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা করা হয়। তাতে সমস্ত অভিযোগ থেকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে ক্নিনচিট দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে শিব সেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। রাতে বিষয়টি জানতে পেরে পরেরদিন দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের সঙ্গে সাতসকালে রাজভবনে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়েছিলেন অজিত। ঠিক তার পরের
দিনই মহারাষ্ট্রে ঘটা ৭০ হাজার সেচ দুর্নীতির মামলায় ক্লিনচিট পেয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে ছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই সারা দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে অজিত পাওয়ার পরিচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছেন বলে কটাক্ষ করছিল বিরোধীরা।
পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে তড়িগড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্লিনচিট দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন মহারাষ্ট্র দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। জানান, মাত্র ৯টি মামলার বিষয়ে অজিত পাওয়ারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এখনও এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন করা বাকি আছে। তাই ক্লিনচিট দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এরপরই মহারাষ্ট্রে ফের পালাবদল ঘটে। আর তারপরই এবার একটি দুর্নীতির মামলায় ক্লিনচিট পেলেন শরদ-ভাইপো। এভাবে কি আসলে ‘ঘর ওয়াপসি’র পুরষ্কারই পেলেন অজিত? উঠছে প্রশ্ন।