শহর মানেই শুধু ব্যস্ততা আর দৌড়ে যাওয়া নয়। শহর মানেই ইটকাঠ পাথরের জঞ্জাল নয়। বরং শহরের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে অনেক সুখ, দুঃখ, চেনাশোনা মুখ। আর কথা যদি কলকাতাকে নিয়ে হয়, তাহলে তো বলতে হয় এ শহরটা জীবন্ত। কবির কথায়, ‘এইই শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু’।
কলকাতা শুধু প্রথম সব কিছুর কথা বলে এমন নয়, কলকাতা আন্দোলনের কথা বলে, ইতিহাসের কথা বলে। তাই পর্যটকদের কাছে প্রিয় কলকাতা। অন্তত তেমনই বলছে ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনাল স্টেটসের রিপোর্ট। ব্রিটেনের ওই বাজার-সমীক্ষা সংস্থার পূর্বাভাস, বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন-শহরের প্রথম একশোর মধ্যে এ মুহূর্তে কলকাতার স্থান ৭৬ হলেও ২০১৯ সালের মধ্যেই ৭৪তম স্থানে উঠে আসবে তিলোত্তমা।
বিশ্বের মধ্যে হংকং এখনও প্রথম স্থানটি ধরে রেখেছে। বাকি লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, ব্যাঙ্কক, ম্যাকাউ, সিঙ্গাপুরও স্বমহিমায় ভাস্বর। কিন্তু হাজার না পাওয়ার মাঝে কলকাতা যে কোন জাদুতে এখনও পর্যটক টানছে, তা ভেবেই শীতের সকালে কিছুটা উষ্ণ আমেজ পোহান বাসিন্দার।
রিপোর্টে পূর্বাভাস, ২০১৯-এর মধ্যে দিল্লী আন্তর্জাতিক পর্যটকদের উপস্থিতির নিরিখে অষ্টম জনপ্রিয় শহর হয়ে দাঁড়াবে। আপাতত তার স্থান একাদশে। সংস্থার ব্যাখ্যা, ‘পর্যটন সংক্রান্ত পরিকাঠামো, বিশ্বমানের বিমানবন্দর, স্বাস্থ্যপরিষেবা ইত্যাদিতে বিপুল উন্নতি করছে দিল্লী।’ এর পরেই রয়েছে মুম্বাই ও বাংলা।