গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর কেটে গেছে ৪ মাস। সেই ঘটনার পর যাতে বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়, তাই ইন্টারনেট ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয় ভূস্বর্গে। বহুদিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাশ্মীরিদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। যা হচ্ছে সংস্থার নিয়ম মেনেই। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিয়ম অনুযায়ী, ১২০ দিন কোনও মেসেজে লেনদেন না হলে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর কাশ্মীরিদের সঙ্গে বর্তমানে ঠিক সেটাই হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার পর অনেক ব্যবহারকারীই নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবিগুলিতে দেখা যায় কাশ্মীরের নাগরিকরা বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন। কিন্তু, পরে জানা যায় হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ম অনুযায়ী এটা ঘটছে। কেউ স্বেচ্ছায় গ্রুপ ছাড়ছেন না। এপ্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডে পড়াশোনার জন্য বসবাসকারী এক কাশ্মীরি পড়ুয়া জানান, কাশ্মীরের খবর ও ছবি সংক্রান্ত পোস্টের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। বৃহস্পতিবার দেখি ওই গ্রুপ ছেড়ে সবাই বেরিয়ে যাচ্ছেন। পরে জানতে পারি ১২০ দিন মেসেজ লেনদেন না হওয়ায় অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই কথা শোনা যায় প্রবাসী চিকিৎসক মুদাসিরের গলাতেও। এবিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ট্যাগ করে টুইট করেছেন কাশ্মীরের রাজনীতিক শেহলা রশিদও।
এই প্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ফেসবুকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যা হচ্ছে তা সংস্থার নিয়ম অনুযায়ীই হচ্ছে। বিশ্বের সব জায়গাতেই ১২০ দিন সক্রিয় না থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখানেও তাই হয়েছে। নিরাপত্তা ও গ্রাহকদের তথ্য মজুত রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে অসুবিধায় পড়ছেন কাশ্মীরিরা। কারণ, এরফলে কাশ্মীরের সঙ্গে বাহ্যিক জগতের সম্পর্ক একেবারেই ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
