পার্লামেন্টে সাংসদদের জন্য খাবারের ভর্তুকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিস্তর আন্দোলনও হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের যখন নাভিশ্বাস, তখন সাংসদরা কেন ভর্তুকি পাবেন? এ প্রশ্নও বারংবার উঠেছে। অবশেষে গতকাল এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্পিকার।
সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, সংসদের ক্যান্টিন থেকে সবরকমের ভর্তুকি এবার উঠে যেতে চলেছে। এখন থেকে বাজারদরেই খাবার কিনবেন সাংসদরা। স্পিকারের সঙ্গে আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তাঁরা। এতদিন সংসদে খাবারের ভরতুকি বাবদ সরকারকে খরচ করতে হত ১৭ কোটি টাকা। এখন থেকে সেই টাকা আর খসবে না রাজকোষ থেকে। বৈঠক শেষে স্পিকার ওম বিড়লা ঘোষণা করেন, এই মুহূর্ত থেকে সংসদের খাবারে সমস্তরকম ভর্তুকি বন্ধ করা হল। সব সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, উদ্দেশ্য শুধু সরকারের ১৭ কোটি টাকা বাঁচানো নয়। মূলত, সমাজকে বার্তা দিতেই ভর্তুকি তুলে দিতে চাইছে সাংসদরা। সার্বিক দিক থেকে দেখতে গেলে মাত্র ১৭ কোটি টাকা ভারতের বিশাল অর্থনীতির তুলনায় নগণ্য। তবে, সাংসদরা যদি ভর্তুকি তুলে দেন, তাহলে তা সমাজের পক্ষে ভাল বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, আপাতত সংসদে সমস্তরকম খাবারেই ভর্তুকি পেয়ে থাকেন সাংসদরা। সব খাবারই বাজারদর থেকে খানিকটা কমে পান তাঁরা। গতবছর একটি আরটিআইয়ের উত্তরে সরকার জানিয়েছিল, সংসদে মাটন কারি বিক্রি হয় মাত্র ৪৫ টাকা প্লেট হিসেবে। চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যায় ৬৫ টাকায়। যা কিনা, দিল্লীর বাজারদরের তুলনায় বেশ কম।