গণতন্ত্রের সঙ্গে নয় ছয় করে কর্ণাটকে সরকার গড়েছে বিজেপি৷ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা৷ তবে এই সরকার কি তিনি চালাতে পারবেন? তার জবাব পাওয়া যাবে বৃহস্পতিবার৷ এ’দিন কর্ণাটকে ১৫ টি বিধানসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে৷ এর মধ্যে অন্তত ৬ টি আসন না পেলে ইয়েদুরাপ্পার আর পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি সামলানো সম্ভব হবে না৷
উল্লেখ্য ১৪ মাসের কংগ্রেস- জনতা দল (সেক্যুলার) এর জোট সরকারকে ভেঙে দিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি৷ কংগ্রেস ও জেডিএস এর বেশ কিছু বিধায়ককে কিনে ইয়েদুরাপ্পা সরকার গড়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ এই বেচা-কেনার চক্করে বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার ১৫ জন বিধায়কের সদস্য পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন৷ তাঁদের সেই ১৫ টি আসনেই উপনির্বাচন হচ্ছে এদিন৷ উল্লেখ্য এই ১৫ টি বিধানসভার কোনওটাতেই বিজেপি জিততে পারেনি৷
২২৫ বিশিষ্ট কর্ণাটক বিধানসভায় বর্তমাবে ২০৮টি আসন আছে৷ এরমধ্যে একটি স্পিকারের৷ বিজেপি ১০৫টি আসন নিয়ে সরকারে এসেছে৷ সংখ্যাতত্বের খেলায় হেরে গিয়েছে কংগ্রেস -জনতা দল সেক্যুলারের জোট সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন এইচ ডি কুমারস্বামী৷২০১৮ সালে মে মাসে কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্টতা পায়নি৷ প্রথমে ১০৫ আসন নিয়ে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন৷ তারপরে ক্ষমতার পাটিগণিতে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন৷ ক্ষমতা দখল করেছিলেন কুমারস্বামী৷ এরপর ফের তিনি ১৪ মাস পরে কুমারস্বামীকে সরিয়ে সেই গাণিতিক ক্ষমতার জোরে মুখ্যমন্ত্রী হন ইয়েদুরাপ্পা ৷
৬ টি আসন না পেলে ২২৫ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারবেন না ইয়েদুরাপ্পা ও তাঁর দল বিজেপি৷ তা হলে নয় ছয় করে গড়া সরকারের নিশ্চিত পরাজয় আটকানো যাবে না৷ এই অবস্থায় দুই শিবিরের কাছে ১৫টি আসনের উপনির্বাচন সম্মান রক্ষা ছাড়াও বাঁচা- মরার লড়াই৷ কংগ্রেস অবশ্য ইয়েদুরাপ্পার হারের বিষয়ে প্রবল আশাবাদী৷ হাল ছাড়তে নারাজ বিজেপি৷