আসি আসি করেও আসছে না শীত। আমেজ অনুভব করতে না পেরে মুখভার বাঙালির। আজ সকাল থেকেই কলকাতায় উত্তুরে হাওয়া বইছে । ঠাণ্ডা হাওয়ার আমেজ, বেশ ভালই মালুম পাওয়া যাচ্ছে শহরে। হালকা গরম জামা, একটা চাপাতেই হচ্ছে। ভোরবেলায় তো বেশ ঠাণ্ডা পড়েছিল। পাতলা চাদরে বাগ মানছে না। হালকা একটা কম্বল লাগছে ভোরের দিকে। সকলে বলছেন তবে কি শীত এল বঙ্গে?
আজ আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ থাকবে ৯৯% আর আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বনিম্ন পরিমাণ থাকবে ৫২%। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় কোনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী দু দিনেই তাপমাত্রা আরও খানিকটা নামবে। কলকাতার তাপমাত্রা আগামী দু’দিনে, দুই থেকে তিন ডিগ্রি নামার সম্ভাবনা রয়েছে , জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ, বড়দিনেরও আর বেশি দিন বাকি নেই। স্কুলগুলিতে শীতের ছুটির ঘন্টা যেন এখন থেকেই বেজে উঠেছে।
অন্যদিকে উত্তুরে হাওয়ার দাপটে শেষ হেমন্তেই শীতের কাঁপুনি নেমে এল উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতলে। সিকিমের ইয়ুমথাংয়ে ভাল তুষারপাতও হল। দার্জিলিং জুড়ে দেখা গেল ঝিরিঝিরি বৃষ্টির রেশ। সেই সঙ্গে মেঘে ঢাকা থাকায় তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে এল।
পাহাড়ের দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক–সহ বিস্তীর্ণ এলাকা এদিন অন্ধকারময় হয়ে ছিল। বাইরে বেরোলেই শরীর ভিজে যাচ্ছিল। দিনের বেলাতেও কুয়াশা আর মাঝেমাঝে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা এতটাই নেমে গেছে যে, পাহাড়ি গ্রামগঞ্জে আগুন না জ্বালিয়ে উপায় ছিল না। এদিন হঠাৎ করেই পাহাড়ের শহর থেকে গ্রাম— সর্বত্র আগুন পোহাতে দেখা গেছে মানুষকে। পর্যটকের সংখ্যা কম হলেও, একেবারে মন্দ নয়। অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ায় চকবাজার থেকে নেহরু রোড, সেই সঙ্গে ম্যাল–লাগোয়া বাজারগুলিতে গরম পোশাক কেনার ভিড়ও দেখা যায়।