আগে থেকে কোনো নির্দেশিকা ছিল না। হঠাৎই মধ্য কলকাতার শিয়ালদহ অঞ্চলে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে মিছিলের চেষ্টা করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। যাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে অশান্তি ছড়াল কলকাতার শিয়ালদহ ও ধর্মতলা এলাকায়। যার জেরে ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ালেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয় বাধ্য হয় পুলিশ। মিছিল শুরু হওয়ার আগেই কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
আগামী শুক্রবার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি। তার আগে এদিন শহরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ মিছিলের চেষ্টা করলে শুরুতেই তাঁদের রুখে দেওয়ার জন্য শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ব্যাপক বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল জলকামানও। এই পরিস্থিতিতে রণকৌশল বদলে শিয়ালদহ স্টেশনের পরিবর্তে এনআরএস হাসপাতাল থেকে মিছিল শুরু করেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের শ’খানেক সমর্থক। তখন সেখানে মাত্র পাঁচ থেকে ছ’জন পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ফলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বেশ কিছুটা এগিয়ে যায় মিছিল। মিছিল এগিয়ে যায় মৌলালির দিকে।
এদিকে, খবর পেয়ে দ্রুত মৌলালির দিকে এগিয়ে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করার চেষ্টা করলে দুই তরফেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এই পরিস্থিতিতে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা এস এন ব্যানার্জি রোড সংলগ্ন এলাকার অলিতে গলিতে পালিয়ে যান। এইমুহূর্তে তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
আগামীদিনে রাজ্যে কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সম্প্রতি রাজ্যের শীর্ষ পুলিশকর্তাদের এক বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে তিনি এও বলেন, বাংলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি লাগানোর চেষ্টা হতে পারে। বিশেষত আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৭তম বর্ষপূর্তিতে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।