এনআরসি-র ফলে আসামে ও পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের মধ্যে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিজেপি নেতৃত্বের মতে, এরই প্রভাব দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে। তাই তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র পেল নাগরিকত্ব বিল। নাগরিকত্ব সংশোধন বিলে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান-সহ প্রতিবেশি রাষ্ট্র থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, জৈন, পারসি ও শিখ শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই নিয়েই সরব হলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর মেহবুবা এখনও গৃহবন্দি। সেই অবস্থাতেই টুইট করে মেহবুবা বলেছেন, “তাহলে মুসলিমদের কোনও দেশ নেই!”
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সংঘাত প্রত্যাশিতই ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহরাও হয়তো চাইছেন—সংঘাত হোক। কারণ, বিলকে সামনে রেখে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটানোও বিজেপি বৃহত্তর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। যদিও বিলে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা মুসলিমদের বিষয়ে কোনও উল্লেখ করা হয়নি। ধর্মের ভিত্তিতে কেন ওই ভেদাভেদ, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দল।