হায়দ্রাবাদের তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। তবে এ তো স্রেফ একটা উদাহরণ মাত্র। গোটা দেশজুড়েই ক্রমশ বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। এমনই এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে সন্তানরা বাড়ির বাইরে গেলেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন খোদ মোদী সরকারের মন্ত্রী তথা শিরোমণি অকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কাউর বাদল।
তিনি জানিয়েছেন, দেশজুড়ে যা চলছে, তার পরে মেয়েদের বাড়ির বাইরে পাঠাতেও ভয় লাগছে। সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নিজের আতঙ্কের কথা জানানোর পাশাপাশি ধর্ষকদের কড়া শাস্তির দাবিও তুলেছেন তিনি। এর আগে অনেকে ধর্ষকদের গণপিটুনির দাবি তুলেছিলেন। ধর্ষণে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি তুললেও গণপিটুনির প্রস্তাব কোনওমতেই সমর্থনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন বাদল।
গতকাল সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘যেভাবে অনেকে ধর্ষকদের গণপিটুনির কথা বলছেন, আমি তা সমর্থন করি না। আমাদের যে ব্যবস্থা রয়েছে, তার ওপরে মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়েই এই ধরনের কথা বলছেন। কিন্তু এটা কোনও সমাধান নয়। আমাদের দেশের মহিলা ও শিশুরা যাতে নিরাপদ থাকে, তার জন্য দ্রুত ও কার্যকরী বিচারব্যবস্থার প্রয়োজন।’
বিচারের সময় ধর্ষকদের বয়সের বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাদল। তিনি বলেন, ‘ধর্ষকের বয়স যত কম হবে, আদালতের উচিত সেই অপরাধীকে অভিযুক্ত করার জন্য তত সময় নেওয়া।’
হরসিমরতের সুরে সুর মিলিয়ে ধর্ষকদের কড়া শাস্তি নিয়ে সরব হয়েছেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। তিনি বলেন, এই ধরনের অপরাধের পর দোষীরা যাতে আর কখনও বাইরে না আসতে পারে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
হেমার কথায়, ‘এই ধরনের সমস্যাগুলির একটা সমাধান থাকা উচিত। প্রায় প্রতিদিনই মহিলাদের ওপর এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তাঁদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। আমার মনে হয়, ধর্ষক ও যৌন নিগ্রহকারীদের সারা জীবনের জন্য জেলেই আটকে রাখা উচিত।’